মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল (যশোর):
যশোরের শার্শা উপজেলায় থাই পেয়ারার চাষ ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। থাই পেয়ারার চাষে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে চাষীরা।

শার্শা উপজেলার কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষীরা থাই পেয়ারার চাষে ঝুঁকে পড়েছে। শার্শা উপজেলায় বর্তমানে যে সমস্ত চাষীরা থাই পেয়ারার চাষ করে লাভবান বা স্বাবলম্বী হয়েছেন তাদের অনুসরণ করে থাই পেয়ারার চাষে ঝুঁকে পড়ার আশা ব্যক্ত করেছেন আরও কয়েকশ” চাষী।

শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়ন সমন্ধকাঠী গ্রামে সিরাজুল ইসলামের ছেলে রাজু আহম্মেদ দেড় বছর হয়েছে থাই পেয়ারার চাষ করে এবং বেশ লভবান হন।

উলাশী ইউনিয়নের সম্বন্ধকাঠী গ্রামের রাজু আহম্মেদ বলেন, তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ কৃষি কাজের সাথে জড়িত আছেন। অন্যান্য কৃষি কাজ করে তেমন কোন আর্থিক উন্নতি করতে পারেনি। উপজেলার কৃষি বিভাগের পরামর্শে থাই পেয়ারার চাষ শুরু করেছেন। নিজের ৩ বিঘা জমি আছে প্রথমে দেড় বিঘা জমিতে থাই পেয়ারার চাষ করে বিগত দিনের ধার-দেনা পরিশোধ করে তিনি এখন স্বাবলম্বী। সংসারের সমস্ত খরচ চালিয়ে তিনি এখন নগদ টাকা জমাতে শুরু করেছেন।

রাজু আরো বলেন, প্রথমে আমার সংসার চালাতে খুব কষ্ট হতো আস্তে আস্তে আমার জিবন পাল্টাতে শুরু করে এখন আমি আরো ১০ বিঘা জমি কিনেছি আমার সব জমিতে পেয়ারা চাষ করবো।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার জানান, শার্শা উপজেলায় ১৯০’হেক্টর জমিতে থাই পেয়ারার চাষ করেছেনে শতাধিক চাষী। থাই পেয়ারার চাষে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শতাধিক চাষীরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। প্রতি বিঘা জমিতে খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বছর ৮০-৯০’হাজার টাকা লাভ হয়।

বাংলাদেশে থাই পেয়ারার চাষ বৃদ্ধি পেলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করা সম্ভব। থাই পেয়ারার স্বাদ ও গুণগত মান খুবই ভাল, তাই ভোক্তাদের কাছে এর চাহিদাও অনেক বেশী।