অাবুল বশর, মহেশখালী :
মহেশখালীর ছোট মহেশখালী সিপাহীর পাড়া ব্রীজ এখন অভিশাপে পরিনত হয়েছে। উন্নয়নের নামে নতুন ব্রীজ সংস্কারের টিকাদারের উদাসিনতা পুরাতন ব্রীজ ভাঙ্গার পূর্বে ডাইভারসন রোড ছাড়া টিকাদার ব্রীজ ভেঙ্গে ফেলায় স্থানীয় জনসাধারণ চরম দূর্ভোগের শিকার হয়েছে।
ঐ ব্রীজের খাল দিয়ে বড় মহেশখালী গুলগুলিয়া পাড়া হয়ে মহেশখালী পৌরসভার বরুনাঘাটস্থ স্লুইচ গেইট দিয়ে পানি চলাচল করে।যার ফলে ব্রীজের নীচে পূর্ব পাশে কোন মতে বালির বাঁধ দিয় পায়ে হেটে চলাচলের ব্যবস্থা করলেও ৩১মে সন্ধ্যায় ২০মিনিটের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বাধ। গত বৃস্থপতিবার থেকে মহেশখালী পৌরসভার এরিয়া সাথে ছোট মহেশখালী সিপাহীর পাড়ার লোকজনের সকল ধরনের গাড়ী যোগাযোগ বিচ্চিন্ন। দিনে কোন মতে লোকজন পায়ে হেটে চলতে পারলে ও রাতে যদি কোথাও অাগুন ধরে বা রোগি হাসপাতালে নিয়ে অাসতে হয় তাহলে ডাইভারশন রোড না করার ফলে কোন মতে সম্ভব হবে না।সিপাহীর পাড়া ব্রীজ নতুন করে নির্মানের জন্য ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কাজ পায় চট্টগ্রাম শহরের সেলিম এন্ড ব্রাদার্স। ব্রীজটি কোন মতে চলাচল উপযোগী থাকলে ও বর্ষার পরে করলে জনগনের দূর্ভোগ পোহাতে হত না।
সম্প্রতি ব্রীজের টিকাদারের টেন্ডার বাতিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অাবেদন পত্র জমা দিলেও তা পাশ না হওয়ার কথা জানান স্থানীয় প্রকৌশলী। কোন কারনে যদি টিকাদারের টেন্ডার চুক্তি বাতিল করে তাহলে কয়েক বছরে ও ব্রীজটি সম্পন্ন হবে না। বালি জায়গায় অপরিকল্পিত ভাবে চলাচলের উপযোগী ব্রীজটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।দূর্বিসহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয় লোকজন ১জুন জুমার নামাজের পর মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ অাবুল কালাম এর নিকট টিকাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে অতিদ্রুত ব্রীজটি কাজ সম্পন্ন করতে ব্যবস্থা করবেন বলে অাশ্বাস প্রদান করেন।

এব্যাপারে মহেশখালী এলজিডি প্রকৌশলী ছৈয়দ জাকির হোসেন জানান, বৃষ্টির কারনে ডাইভারশন রোড ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি । টিকাদারকে কয়েক ঘন্টার মধ্যে টেকসই ডাইভারশন তৈরী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।