মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি:

রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দৌছড়ি ঢালার মুখ নামক এলাকায় বন্য হাতির আক্রমনে আহত ১ জনকে আংশকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে মৃত আব্দুল করিমের ছেলে নসরুল্লাহ তার ৩ বছরের শিশু কন্যা গুরুতর অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্ত্রী জয়নাব বেগম (২৫) কে ১৪ এপ্রিল রাতে অবস্থার অবনতি হলে সংকটপূর্ণ অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

সেখানে ক্ষত বিক্ষত জয়নাব হাসপাতালের বিছানায় সংকটাপূর্ণ অবস্থায় মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। এ বিষয়ে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে শনিবার ১৪ এপ্রিল গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীতে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন যার নং ২৯৭। এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী বন্য হাতির হামলায় আহতদের চিকিৎসার জন্য অসহায় পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করার জন্য জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে নসরুল্লাহ ও তার স্ত্রী- শিশুকন্যা  তরমুজ ক্ষেত পাহারার টংঘরে রাত্রি যাপন কালে বন্য হাতির একটি পাল এসে তাদের চাষের সব তরমুজ খেয়ে পেলে।
এ সময় নসরুল্লাহ ডাক দিলে একটি হাতি দৌড়ে এসে টংঘরটি ভেঙ্গে ফেলে এবং স্বামী-স্ত্রী ও শিশুটিকে শুড় দিয়ে ছুড়ে মারলে তারা গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় বন জাগিদার ছালামত উল্লাহ জানান আহত নসরুল্লাহ ইউনিয়নের ঢালার মুখ নামের এলাকায় ৪০ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেন।

মঙ্গলবার রাতে তরমুজ ক্ষেত পাহারার টংঘরে তারা রাত্রি যাপন কালে বন্য হাতির একটি পাল এসে তাদের চাষের সব তরমুজ খেয়ে পেলে। এ সময় নসরুল্লাহ ডাক দিলে একটি হাতি দৌড়ে এসে টংঘরটি ভেঙ্গে ফেলে এবং স্বামী-স্ত্রী দুইজন কে শুড় দিয়ে ছুড়ে মারলে তারা গুরুতর আহত হয়। এ সময় তাদের সাথে থাকা কোলের শিশুটিও গুরুতর আহত হয়। এ বিষয়ে কচ্ছপিয়ার ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আবছার সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।