নিজস্ব প্রতিবেদক:
শুটকিতে যাতে পোকা না ধরে, রং যাতে কালচে না হয় সে জন্য মানবদেহের ক্ষতিকর রাসায়নিক ও কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। এতে যকৃৎ ও কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নানা ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এ ছাড়া নারী-পুরুষ উভয়েই প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারেন। গর্ভবতী নারী বিষযুক্ত শুটকি খেলে তার সন্তান শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী অথবা বিকলাঙ্গ হয়ে যেতে পারে।
সোমবার (২ এপ্রিল) শুটকী মাছ উৎপাদনকারীদের সাথে মাছ সরবরাহকারী, শুটকী ব্যবসায়ী, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ভোক্তাদের লিংকেজ স্থাপন কর্মশালায় এ কথা উঠে আসে।
সভায় বলা হয়, কীটনাশক ছাড়াও শুটকির ওজন বৃদ্ধির জন্য মাছ শুকানোর সময় লবণ ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা। শুটকি রোদে দেয়ার পূর্বে তা বিষ ও লবণ পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়। তাতে ভোক্তারা কঠিন রোগে পড়তে পারে। শুটকীতে বিষ মেশানো সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। সেজন্য প্রয়োজনে আইনের আরো কড়াকড়ি করা দরকার।
কোস্ট ট্রাস্টের ‘ফিস ড্রায়ার ও জৈব পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে বিষমুক্ত শুটকী মাছ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের দ্বারা ভোক্তাদের আয়বুদ্ধি ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের এই সভায় শুটকীতে বিষ প্রয়োগের নেতিবাচক দিক, আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবতা তুলে ধরে বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আবদুল আলীম, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (সদর) ড. মঈন উদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোস্ট ট্রাস্টের উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রকল্পের সমন্বয়ক জিয়াউল করিম চৌধুরী। মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর তানজিনা খাতুন। উপস্থিত ছিলেন- টেকনিক্যাল সুপারভাইজার ব্যবস্থাপক মো. বাবুল হোসেন, মনিটরিং অফিসার আবু মো. মেছবাহ উদ্দিন কায়সার, এমএস অফিসার সাইফুল ইসলাম। ভোক্তাদের পক্ষে কামাল উদ্দিনরহমান পেয়ারু শুটকী পরীক্ষার যন্ত্র, কোলস্টোরসহ ব্যবসায়ীদের সরকারী সহায়তা বাড়ানোর দাবী তুলেন।