বার্তা পরিবেশক:
টেকনাফ বাহারছড়ার জাহাজপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরি নিয়োগে আবেদনকারির মধ্যে একজনের জন্মতারিখ ৩টি পাওয়া গেছে। গত ৬মার্চ প্রকাশিত সার্ককুলারে নিয়োগের জন্য আবেদনের শেষ তারিখ ঘোষনা করা হয় ২০ মার্চ।

সর্বশেষ আবেদন অনুয়ায়ি ৫ জন প্রার্থী আবেদন করে। আবেদনপত্রে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে স্থানীয় মাহবুব আলমের পুত্র মুনির আহমদের ৩টি জন্মতারিখ পাওয়া গেছে। ভোটার তালিকায় তার জন্ম তারিখ আছে ১ জানুয়ারি ১৯৮৭ । ফলে তার বয়স হয় ৩১ বছর ২মাস ১৯ দিন। তার নিকাহ রেজিষ্টার অনুয়ায়ি বয়স লেখা হয়েছে ৩৭ বছর। টেকনাফের মৌলানা কাজি রাকেবুল হকের কাজি অফিসের বালামের ১১১/৭ নং ক্রমিকের নিকাহ নামায় বয়স ৩৭ বছর উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া তার নবম শ্রেণির রেজিঃকার্ডে জন্ম তারিখ উল্লেখ রয়েছে ৩ ফেব্রয়ারি ১৯৮৭। সে অনুয়ায়ি তার বয়স ৩১ বছর ১ মাস ১৭ দিন।

তবে আবেদন করার সময় বিদ্যালয়ে যে কাগজ ওেয়া হয়েছে তাতে জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৮৯ উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক কামরুল হুদা। বিধি অনুয়ায়ি সরকারি চাকুরির আবেদনের সময় ৩০ বছরের উর্ধে হতে পারবেনা। তাহলে এ প্রার্থী কিভাবে আবেদন করতে পাওে আর করলে তা বাছাই কমিটি কিভাবে তা বৈধ করে আলোচানার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রধান শিক্ষক জানান, আবেদনে আমরা যে কাগজ পেয়েছি তাতে ২৯ বছর উল্লেখ আছে। কেউ যদি অভিযোগ করে শিক্ষা কমিটির কাছে তা আমরা বিবেচনা করব। স্থানিয় প্রভাবশালী এসএমসির সভাপতির ভাই বলে উক্ত বড় ডেইলের মুনির আহমদকে নিয়েগের জন্য ইতোমধ্যে চুড়ান্ত করে ফেলেছে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্পূর্ণ অবৈধ এবং বিধি বর্হিভ’ত ভাবে যদি মুনির আাহমদকে নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলে প্রকৃত প্রাার্থীদের প্রতি অবিচার করা হবে।

এ ব্যাপরে টেকনাফ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমদাদ হোসেন চৌধুরী জানান, আমাদের কাছে বিধিই মূখ্য । ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে বয়সসীমা । এর বাইরে যদি কেউ আবেদন করে যদি কেউ তথ্য গোপন করে তাহলে আমরা উপজেলা বাচাই কমিটি তা প্রমান পেলে বাতিল করব। চাকুরী হয়ে গেলেও অভিযোগ পেলে তা তদন্ত পূর্বক বাতিল করার নিয়ম ও রয়েছে।