গত ১৭ জানুয়ারী দৈনিক দৈনন্দিন ও বিভিন্ন অনলাইনে প্রকাশিত “ঈদগাঁও বাজারে ফার্মেসীতে হামলা, ব্যবসায়ীকে মারধর” শীর্ষক সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। উল্লেখিত সংবাদে যে সমস্ত গল্প কাহিনী সাজানো হয়েছে তা সর্ম্পূণ বানোয়াট। যা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা। হামলা চালিয়ে শোকেছ ভাঙচুর, ঔষধপত্র তছনছসহ মারধরের যে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে তা সাজানো নাটক। মূল কথা হচ্ছে আমার পিতা নুরুল ইসলাম ১৯৯২ সালের দিকে আমার মেঝ ভাই রুহুল আমিন তার পিতাকে এস এন র্ফামেসী করার জন্য ১০,০০,০০০/= (দশ লক্ষ টাকা) দেয়। ঐ টাকা দিয়ে আমার পিতা ব্যবসা শুরু করেন। সেই থেকে আমরা সবাই ব্যবসা দেখাশোনা করতাম। তখন আমার বড় ভাই আবদু সালাম বাবুল দ্বিতীয় তলায় অফিস করত। নুরুল আমিন, নুরুল আজিম, নুরুল হাকিম এবং আমি ব্যবসাটা এক সাথে মিলেমিশে করতাম। নুরুল আজিম যখন বিদেশে চলে যায় তখন নুরুল হাকিম এবং আমি নিজেই ব্যবসাটা দেখাশোনা ও পরিচালনা করতাম। মাঝে মধ্যে আমার ভাই আবদু সালাম বাবুল ব্যবসাটা দেখাশোনা করত। নুরুল হাকিম এবং আমি ২০০৩ সালে পড়াশোনার জন্য ঢাকায় চলে যাই, সেই সুযোগে আমার বড় ভাই কারো কাছে কোন কথা না বলে এবং আমার পিতার সাথে ও কোন আলাপ আলোচনা না করে এস, এন ফার্মেসীর যাবতীয় ঔষুধ বিক্রি করে দেয়।ঔষুধ বিক্রির সব টাকা পয়সা নিজে একাই ভোগ করেন। ইসলামাবাদ হরিপুর এলাকার রনজিত কুমার দে-র সাথে আমার বড় ভাই বাবুল কাউকে না জানিয়ে ৩ বছরের জন্য ব্যবসায়িক চুক্তিপত্রের মাধ্যমে দোকানটা ভাড়া দিয়ে দেয়। আমি এবং আমার অন্য ভাইয়েরা যখন দোকান ছেড়ে দেয়ার জন্য ভাড়াটিয়াকে বলি তখন আমার বড় ভাই বাবুল পিতার কথায় পরোয়ানা না করে পুুনরায় চুক্তি করে । দোকান ভাড়ার সালামি এবং ভাড়া বাবদ সব টাকা নিজেই ভোগ করে। ফার্মেসী বাবদ অর্জিত টাকা দিয়ে নিজের নামে ডিসি সড়কে পূর্বাণী হোটেলের উত্তর পাশে ৪ টা দোকান ক্রয় করেন। আমার পিতা যখন ২০১১ সালে মারা যান তখন মূল দলিল পত্র বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে খতিয়ান করার সময় আমরা তিন ভাইকে (রুহুল আমিন ,নুরুল আমিন, নুরুল হাকিম)কে বাদ দিয়ে খতিয়ানভূক্ত করে নেয়। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর বড় ভাইরা যার যার মতে আলাদা আলাদা বসবাস করেন। দোকানের ব্যাপার নিয়ে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও জালালাবাদ চেয়ারম্যান এর কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে একাধিকবার সালিশে বসার জন্য নোটিশ প্রেরণ করা হলেও আমার বড় ভাই বাবুল কোন সালিশে বসেনা এবং উল্টা আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়। এজন্য আমরা সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার করার জন্য প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী :

নুরুল আবছার

পিতা- মৃত নুরুল ইসলাম, সাং- মিয়াজী পাড়া, জালালাবাদ, সদর, কক্সবাজার।