হারুনর রশিদ,মহেশখালী:

মহেশখালীতে বিমান বাহিনীর ২টি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিমান বাহিনীর এয়ার কমোডর ইউসুফ আলী। আজ বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর এ পরিদর্শন করেন । এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির মালিক ও কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন । এসময় সঙ্গে ছিলেন মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আবুল কালাম, ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া, ফায়ার সার্ভিস ,বিমান বাহিনী এবং পুলিশ সদস্যবৃন্দ ।

মহেশখালীতে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দুটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয় । বিমানে থাকা চার বৈমানিককেই জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁরা আশঙ্কামুক্ত। চার বৈমানিকই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ আরও ছয়জন আহত হয়েছে । আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লে. কর্নেল রাশিদুল হাসান জানান, বিমানবাহিনীর দুটি প্রশিক্ষণ বিমান ইয়াক-১৩০ বিএএফ বেস জহুর থেকে ছেড়ে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিমান দুটি বিধ্বস্ত হয় । মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, বুধবার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আকাশে বিকট একটা শব্দ হয়। এর মিনিট দুয়েকের মাথায় বিধ্বস্ত হয় বিমান দুটি।

সূত্রে জানা যায়,ইয়াক-১৩০ মডেলের যুদ্ধবিমান ১৯৯৬ সালে প্রথম আকাশে উড্ডয়ন করে। এরপর ২০০২ সালে একে রুশ সামরিক পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রধান আকাশযান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের যে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ হয়েছে, তার আওতায় ২০১৫ সালে বিমানগুলো কেনা হয়। রাশিয়ার সমরাস্ত্র প্রস্তত কারী প্রতিষ্ঠান ইরকুত করপোরেশন এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান নির্মাণ করে থাকে। এই যুদ্ধবিমান মৌলিক ও যুদ্ধ প্রশিক্ষণের জন্য উপযোগী। পাশাপাশি একে আক্রমণের কাজেও ব্যবহার করা যায়।

বিধবস্ত বিমান দুটি উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে বিমান বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন। মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান- দূর্ঘটনা কবলিত বিমান দুটি উদ্ধার করতে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। বিধ্বস্ত বিমানের দুই এলাকায় নিরাপত্তার জন্য পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , দুর্ঘটনায় পুটিবিলা এলাকার আব্দু সাত্তারের বসতবাড়ী ও কৃষকের ক্ষয়-ক্ষতি হয় এবং আহত হয় আখি ও ফয়সাল নামে ২জন। অপরদিকে ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে পানের বরজের উপর অপর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। উক্ত এলাকায় পান চাষি ও শুষ্ক মৌসুমের কৃষকেরা ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে।