মোহাম্মদ হোসেন, হাটহাজারী:

সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে এবার হালদা নদী ভাঙনরোধ প্রকল্প উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী ৯ ডিসেম্বর ২০১৭ইং। সরকার হালদা নদী ভাঙনরোধে এই বৃহত্তর প্রকল্পটির কাজে হাত দিয়েছেন। এটি বাস্তবায়ন হলে প্রাথমিক ভাবে এ প্রকল্পে আওতাধীন হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার হালদার তীরবত্তী বসবাসরত মানুষের কাজে আসবে।

হালদা নদী তীর রক্ষা প্রকল্পটির আওতায় ১২.১২ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ কাজ, ৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ, ১৫ কিলোমিটার বাঁধ মেরামত, ৪ কিলোমিটার বিদ্যমান রাস্তা কাম বাঁধ উঁচুকরণ, ০.৫৫০ কিলোমিটার ফ্লাড ওয়াল নির্মাণকাজ অন্তর্ভুক্ত আছে।

জানুয়ারি-২০১৭ থেকে ডিসেম্বর-২০১৯ সময়কালে বাস্তবায়িতব্য প্রকল্পটির মোট ব্যয় হবে ২১২ কোটি ৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার প্রায় ৫ হাজার ৭১০ কোটি টাকার সম্পদ নদীভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাবে এবং প্রকল্প এলাকার সামাজিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাবে।

গত ৪ এপ্রিল ঢাকার শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের ২৩তম সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়।

হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ, ধলই, গুমানমর্দন, লাঙলমোড়া, ছিপতলী, গড়দুয়ারা, মাদার্শা, বুড়িশ্চর ইউনিয়ন, নগরীর মোহরা ও রাউজানের গহিরা, সাত্তারহাট সেতুর উজান-ভাটি, আবুরখীল, মোকামিপাড়া, বড় উঠানসহ ৩৯টি পয়েন্টে ভাঙনরোধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্প নদীর মোহরা অংশ থেকে শুরু করে উত্তর-পশ্চিমে ১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।

হাটহাজারী উপজেলার আকবরিয়া হতে নাজিরহাট পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার হালদার পাড়ে বেড়িবাধ নির্মাণ করা হবে। তার মধ্যে ৮টি স্পটে জায়গা উচু করা হবে। এ ৪টি স্পটের জন্য ৮ কোটি টাকা বারাদ্দ দেওয়া হয়। এই বেড়ি বাঁধের ওপর সিএনজি অটোরিকসা চলাচলের ব্যবস্থাও থাকবে। আগামী ৯ ডিসেম্বর হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট এলাকায় হালদা নদী ভাঙন রোধকল্পে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে হালদার তীর সংরক্ষণ কাজের উদ্বোধন করা হবে। পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ(এমপি) এ কাজের উদ্বোধন করবেন। আরো উপস্থিত থাকবেন রাউজান থেকে নির্বাচিত রেল মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি,আলহাজ্ব এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী(এমপি), মহিউদ্দীন খাঁন বাদল (এমপি),এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে হালদা নদীর দুই তীরে ভাঙনে শত শত একর ফসলি জমি, ক্ষেত-খামার ও বাড়ি ঘর রক্ষা পাবে। দুই উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ উপকৃত হবে।

বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত ও সাধুবাদ জানিয়েছেন হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার হালদা নদীর তীরবর্তী বসবাসরত অসহায় পরিবারেরা।