গত ২৩ জুলাই কক্সবাজার নিউজ ডটকমে প্রকাশিত গোমাতলী থেকে লবন লুটঃ বোট জব্দ শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে।প্রকাশিত সংবাদটি সম্পন্ন সাজানো যা উধোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে ছাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা।সংবাদটি পড়ে হতবাক হয় আমরা।উল্লেখিত সংবাদটির ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য হলাম।মুল ঘটনা হচ্ছে গোমাতলী মৌজার বিএস খতিয়ান ১৩৩০, বিএস দাগ ৩১৯১,৩১৯৪,৩১৯৯ দাগাদির আন্দর ২.০০ একর নিম্ম তফসীলোক্ত জমি আমাদের পৈত্রিক সূত্রে মিরাজ প্রাপ্ত ও স্বত্ব দখলীয় জমি হয়।তৎমধ্যে আমাদের পিতার বিএস ১০৩ খতিয়ান চুড়ান্ত প্রচার আছে।
জমি গুলো বিগত ২৯ বছর ধরে স্থানীয় মৃত মুখলেছুর রহমানের পুত্র বদিউল আলম, রমজান আলী,নুরুল আলম,মৃত মোহাম্মদ কালুর পুত্র আবদু সাত্তার,নুরুল আলমের পুত্র মোহাম্মদ রাশেল ভোগ দখল করে আসছিল।আমাদের বাবা মারা যাওয়ার সময় আমরা সকলেই নাবালক থাকায় নিম্মতফসীলোক্ত সহায় সম্পত্তি বিবাদীগন চাষাবাদ করিতেন।এই সুযোগে আমার মা নারী হওয়ায় তাহারা আমার মাকে কোন ধরনের খাজনা না দিয়ে দীর্ঘ ২৯ বছর যাবৎ অবৈধ ভোগ দখলে ছিলেন।পর্যায়ক্রমে আমরা বড় হলে ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত তফসীলোক্ত জমির খাজনা দাবী করলে বিভিন্ন ছল চাতুরীর আশ্রয় নেয় তারা।এক পর্যায়ে আমরা স্থানীয় গম্যমান্য ব্যক্তিদের বিচার দিলে তারা উক্ত শালিসে ২৯ বছরের খাজনা বাবদ ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এবং জমি ছেড়ে দেন। শালিসের এক বছর পরও খাজনা না দেওয়ায় পুনরায় টাকা দাবী করলে উল্টো অস্ত্র নিয়ে আমাদের হুমকি দেয়।তারা স্থানীয় চাঁদাবাজ,বেআইনী অস্ত্রধারী ও ভুমিদস্যু প্রকৃতির লোক। তাহার দেশের প্রচলিত আইন কানুন মানে না।এ দিন লবন লুটের যে কথা আনা হয়েছে তা মোটেও সত্য নয়।লবন গুলো আমাদের চাষকরা। এদিন আমরা লবন গুলো বোট ভর্তি করে ইসলামপুরে আনছিলাম।টিক এ সময়ে প্রতিপক্ষের ইন্দনে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন লবনগুলো জব্দ করে অল্প দরে ইসলামপুর বাজারে বিক্রি করে দেয়।লবন গুলো উদ্ধার করতে ইতিমধ্যে আমরা কয়েকটি দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে সংবাদকর্মী ভাইদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।উল্লেখিত সংবাদ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
মোহাম্মদ আবদুল্লাহ
পিতা-মৃত নাজীর আলী
পশ্চিম গোমাতলী,সদর কক্সবাজার।