সৌদি আরব সরকারের অর্থায়নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় সারাদেশে প্রত্যেক জেলা ও উপজেলা শহরে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামীক সাংষ্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এরই আলোকে চকরিয়ায় প্রায় ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে দৃষ্টি নন্দন মসজিদটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
সূত্রে জানাগেছে, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, চকরিয়া উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন এবং ইসলামীক ফাউন্ডেশনের যৌথ ব্যবস্থাপনায় চকরিয়ায় খুব শীঘ্রই স্থাপিত উক্ত বহুতল বিশিষ্ট দৃষ্টি নন্দন মডেল মসজিদটি স্থাপিত হতে যাচ্ছে। উক্ত মসজিদটি প্রতিষ্ঠায় ইতিপূর্বে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন জমি নির্ণয়ের কাজও শুরু করেছে। সম্প্রতি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাহেদুল ইসলাম পৌর শহরের প্রাণ কেন্দ্র চিরিংগা পুরাতন বাস ষ্টেশন জামে মসজিদের জমি ও সীমানা পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় মুসল্লীরাসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ চকরিয়া পেকুয়া আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য জননেতা আলহাজ মোহাম্মদ ইলিয়াছ, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম বিএ(অনার্স) এমএ, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাহেদুল ইসলাম এবং ইসলামীক ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকতাদের কাছে গণদাবী উঠেছে, চকরিয়া পৌর শহরের প্রাণ কেন্দ্র চিরিংগা পুরাতন বাসষ্টেশন জামে মসজিদকে সরকারের গৃহীত সেই দৃষ্টি নন্দন মডেল মসজিদ হিসেবে পরিণত কিংবা রূপান্তরিত করলে বর্তমান সরকারের ভাব মুর্তি আরো উজ্জল হবে। সচেতন মহল জানিয়েছেন, দেশি- বিদেশ লক্ষ লক্ষ পর্যটক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপর দিয়ে চলাচলের পথে সরকারের গৃহীত দৃষ্টি নন্দন এই মসজিদটি দেখবে। ফলে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার ধর্মীয় এই নিদর্শন পর্যটক কিংবা সমগ্র চকরিয়াবাসী দেখে সরকারের প্রশংসা সর্বতে ছড়িয়ে দেবে। তাই সেই দৃষ্টি নন্দন মসজিদ নির্মাণের গণদাবীতে পরিণত হয়েছে।
সূত্রে জানাগেছে, সৌদি আরব সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় উক্ত মডেল মসজিদ হবে প্রায় ৭ম তলা বিশিষ্ট, থাকবে পাঠাগার, ইসলামীক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়, ইসলামীক সাংষ্কৃতিক কেন্দ্র ও সুপ্রস্থ হলরুম। এছাড়াও একটি কমপ্লেক্সে ইসলাম ধর্মীয় সব ধরণের আয়োজন থাকবে উক্ত মডেল মসজিদে।
চকরিয়ার চিরিংগা পুরাতন বাসষ্টেশন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: ইউনুছ মেম্বার জানিয়েছেন, সরকারের প্রস্তাবিত প্রজ্ঞাপনের সব কিছু তাদের রয়েছে। বাস ষ্টেশন মসজিদে ইতিপূর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জমি পরিমাপ করে ৪৮শতক জমি পেয়েছেন। কিন্তু প্রস্তাবিত মডেল মসজিদের জন্য জমি প্রয়োজন ৪০ শতক। এছাড়াও মহাসড়কের পাশে^ প্রশস্থ জমি হলেও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা প্রজ্ঞাপনে রয়েছে এবং উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ২ কি:মি: এর মধ্যেও বলা হয়েছে। তাদের সব কিছুই রয়েছে। সর্বশেষ গতকাল ৩০ সেপ্টেম্বর জোহরের নামাজের সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম মসজিদের অবস্থান সর্ম্পকে সরে জমিনে দেখে গেছেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাহেদুল ইসলাম বলেন, চিরিংগা বাসষ্টেশন জামে মসজিদসহ পৌর এলাকার আরো বেশ কয়েকটি মসজিদ সরে জমিনে গিয়ে দেখেছি। পৌর এলাকায় ৪০শতক জমি এক সাথে পাওয়া গেলে, কিংবা দৈঘ্য ১৬৫ফুট, প্রস্থ ১১০ ফুট বিশিষ্ট জমি থাকলে এবং পৌর সদরে হলে মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হবে।
চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম বলেন, ইসলামীক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একইভাবে তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশের প্রত্যেক উপজেলায় কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে মডেল মসজিদ প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছেন। তিনি সর্বসাধারণের নজরে আসে এধরণের জায়গায় উক্ত মডেল মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানান।
চকরিয়া-পেকুয়ার জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মো: ইলিয়াছ বলেন, চিরিংগা বাসষ্টেশন মসজিদকে সরকারের প্রস্তাবিত মডেল মসজিদ হিসাবে রূপান্তরিত হলে সরকারের ভাবমুর্তি বৃদ্ধি পাবে এবং পৌরশহরের সৌন্দর্য্যও বৃদ্ধি পাবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।