আবদুল মজিদ, চকরিয়া:

চকরিয়ায় স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের পিটিয়ে গুরুতর জখম করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুল ছাত্রী শ্যালিকাকে অস্ত্রের জিম্মি করে অপহরণের ঘটনায় লম্পট দুলাভাইসহ ৩জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৩/৪জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে থানায় মামলা (নং ০৩,জিআর৫১৩/১৭) দায়ের করা হয়েছে। গত ৪অক্টোবর’১৭ইং অপহৃতের পিতা আবুল কাশেম (৪০) বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পূর্বমাইজপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে রোকসানা আক্তারের সাথে বিয়ে হয় চকরিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ভেন্ডীবাজার বড়পাড়া গ্রামের মৃত নুরুল আলমের পুত্র জমির উদ্দিনের। দূর্ভাগ্যবশত স্বামী জমির উদ্দিন মারা গেলে তার ছোট ভাই (স্বামীর ভাই) আবদুল মন্নানের সাথে নতুন করে বিয়ে হয় ভাবি রোকসানার। বিয়ের পর স্ত্রীর উপর চালায় যৌতুকের জন্য নির্যাতন। সর্বশেষ পাষন্ড স্বামী যৌতুকের জন্য তাড়িয়ে দেয় স্ত্রীর পিতৃালয়ে। ওই ঘটনায় স্ত্রী রোকসানা বাদী হয়ে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্বামী আবদুল মন্নানের বিরুদ্ধে সিপি মামলা নং ৮৭৩ দায়ের করেন। বিদেশ ফেরত প্রতারক স্বামী মামলা তুলে নিতে স্ত্রী রোকসানাসহ পরিবারের সদস্যদের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছেন। এমনকি অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুল ছাত্রী ছোট বোনকে অপহরণ করে ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে ধর্ষণ করারও হুমকি দেয়। সর্বশেষ গত ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬ টায় স্বামী আবদুল মন্নান ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে একটি হাইয়েস মাইক্রো গাড়ী নিয়ে স্ত্রী রোকসানার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছোট বোন স্কুল ছাত্রী মনিকা জন্নাত (১৩)কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জোর পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাদের বাধা দেওয়ায় পিটিয়ে আহত করা হয়েছে স্ত্রী রোকসানা আক্তার (২০), তার অপর ছোট বোন মোবারকা জন্নাত (১৭)কে। এ ঘটনায় অপহৃতের পিতা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে আসামী করা হয়েছে মৃত নুরুল আলমের পুত্র আবদুল মন্নান (৩২), তার ভাই হেলাল উদ্দিন (৩৬), মোঃ হোসেনের পুত্র খলিলুর রহমান (৩৮)সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের দায়ে পিতার দায়েরকৃত এজাহারটি মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে এবং মামলায় তদন্তের দায়িত্ব থানার উপপরিদর্শক অপু বড়ুয়াকে দেওয়া হয়েছে।

এসআই অপু বড়ুয়া জানান, অপহৃতাকে উদ্ধার ও অপহরণকারী আবদুল মন্নানসহ অপরাপর আসামীদের কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই আসামীরা ধরা পড়বে এবং অপহৃতাকে উদ্ধার করা হবে।