প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসউদ খান বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের দূর্দশা অবর্ণনীয়। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু অভিভাবক হারা। বিভিন্ন ক্যাম্প ও এলাকায় শরণার্থীরা শিশুখাদ্য, পানি, ঔষধ ও স্যানিটেশনের তীব্র সংকটে রয়েছে। এ সংকটময় মুহুর্তে বিভিন্ন মিশনারী এনজিওগুলো যেন সেবার অন্তরালে অসহায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের ধর্মান্তরিত করতে না পারে তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। সেই সাথে ঈমানী ও মানবিক চেতনাবোধ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি যার যার অবস্থান থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি ৩০ সেপ্টেম্বর উখিয়ার বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থানরত মজলুমদের মাঝে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ ঢাকা মহানগর কর্তৃক ত্রাণ, নগদ অর্থ এবং কক্সবাজার জেলা শাখা কর্তৃক কুরআন শরীফ, খুৎবা ও ইসলামী শিক্ষা উপকরণ বিতরণকালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, মানবিক সহায়তার পাশাপাশি মজলুম রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও ইসলামের বুনিয়াদি শিক্ষার প্রসার ঘটানোও একান্ত প্রয়োজন। ঈমানী ও মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে ঐতিহ্যবাহী ইসলামী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের অগ্রণী ভূমিকা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
মজলুম রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে পবিত্র কুরআন শরীফ বিতরণ ও মানবিক সহায়তা প্রদানের এই তৎপরতায় দায়িত্বশীলদের মধ্যে শরীক ছিলেন, ঢাকা মহানগর সভাপতি আতিকুর রহমান ছিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখী যাকারিয়া, মাওলানা মুহিব্বুল হাসান, চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক মুহাম্মদ ওয়াহিদুল্লাহ, কক্সবাজার জেলা সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ ইউছুপ মক্কী, রামু উপজেলা সভাপতি মুহাম্মদ দিদারুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আতাউল্লাহ, উখিয়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হাফেজ আলিম উদ্দীন, কক্সবাজার শহর আহ্বায়ক সাইফুর রহমান মেহেদী, রামু চাকমারকুল ইউনিয়ন সভাপতি মুহাম্মদ অলি উল্লাহ, খুনিয়া পালং ইউনিয়ন সহ-সভাপতি মুহাম্মদ সাঈদ হোছাইন, উখিয়া জালিয়া পালং ইউনিয়ন সভাপতি মুহাম্মদ ওসামা প্রমুখ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।