খালেদ হোসেন টাপু, রামু:
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব রামুর কৃতি সন্তান মাফরূহা সুলতানা নিজ জন্মভূমি রামুতে ২টি প্রোগ্রামে অংশ নিতে আসলে তাঁকে ফুল দিয়ে অভিনন্দিত করেন রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহজাহান আলি। রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় রামুতে পৌঁছে প্রথমে সচিব মাফরূহা সুলতানা জোয়ারিয়ানালা ঘোনারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উঠান বৈঠক ও মত বিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। এরপর তিনি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক মত বিনিময় সভায় মিলিত হন। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহজাহান আলি। বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক আবদুল মজিদ, উপ সচিব নাজির আহমদ, জেলা বিআরডিবি’র উপ পরিচালক এনামুল হক, কক্সবাজার সমবায় কর্মকর্তা আবদুল লতিফ, ভাইস চেয়ারম্যান আমির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন, রামু থানার ওসি তদন্ত মিজানুর রহমান, ফতেখাঁরকুল চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, চাকমারকুল চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, খুুনিয়াপালং চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ, কচ্ছপিয়া চেয়ারম্যান আবু ইসমাইল মো. নোমান, দক্ষিণ মিঠাছড়ি চেয়ারম্যান ইউনুস ভুট্টো, কাউয়ারখোপ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, রশিদ নগর চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মন্নান, উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি জাকের হাসান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিরীন ইসলাম, রামু বিআরডিবি চেয়ারম্যান শামসুল আলম, রামু একাডেমীক সুপারভাইজার মো. তৈয়ব, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, রামু পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইয়াসিন আরফাত, কৃষি কর্মকর্তা আবু মাসুদ সিদ্দিকী, সমবায় কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ, সহকারী প্রকৌশলী আলাউদ্দিন খান, সাংবাদিক খালেদ হোসেন টাপু প্রমুখ। এর আগে জোয়ারিয়ানালা ঘোনার পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় সমিতির উঠান বৈঠক ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সচিব মাফরূহা সুলতানা। এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক আবদুল মজিদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহজাহান আলি, উপ সচিব নাজির আহমদ, জেলা বিআরডিবি’র উপ পরিচালক এনামুল হক, কক্সবাজার সমবায় কর্মকর্তা আবদুল লতিফ, জোয়ারিয়ানালা চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমদ প্রিন্স, ঘোনারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সোনাইছড়ী খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি মোশারফ হোসেন সিকদার, রশিদ মিয়া মেম্বার, মাবিয়া ইয়াসমিন, নুর জাহান বেগম, শহীদুল আলম, রিজিয়া আকতার, দিদারুল আলম, ছৈয়দ আলম, দিলরুবা খানম, জাফর আলম, ফাতেমা বেগম, মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রথমে প্রধান অতিথিকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। এরপর একের পর এক একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতাধীন সমিতির নেতৃবৃন্দরা ফুল ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তুলে দেন। প্রধান অতিথি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালে সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করার সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। তাই এলাকার টেকসই উন্নয়নে সকলকে ব্যক্তিগত স্বার্থের উর্ধ্বে থেকে একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে কাজ করতে হবে।তিনি রামুতে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের অগ্রগতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য সকলকে নিষ্ঠা ও সততার সাথে নিজ নিজ কর্মস্থলে আন্তরিক হয়ে কাজ করতে হবে। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় অনেক মানুষের কর্মসংস্থান এবং দারিদ্র্য বিমোচনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি গ্রামে দরিদ্র পরিবারগুলো আজ উপকৃত হচ্ছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।