জহির খন্দকার, ঈদগড়:
রামু উপজেলার ঈদগড় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা জেল হাজত থেকে সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়ে অাবারো সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যে কোন মুহুর্তে ঈদগড়ের বিভিন্ন বসতবাড়ীতে ডাকাতি ও ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী সড়কে যাত্রীবাহী যানবাহনে ডাকাতি অপহরনের মত ঘটনা সংঘটিত করতে পারে বলে অাশংকা প্রকাশ করেছে এলাকিবাসী।
পুলিশ কর্মকর্তা স্তানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেত্রীবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী ২৩ কি:মিটারের এই সড়কে ৭ টি পয়েন্টে গত ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৪০ জন কে যাত্রীবাহি যানবাহনে ডাকাতি শেষে অস্ত্রের মুখে অপহরন করে মোটা অংকের মুক্তিপন অাদায় করেছিল সশস্ত্র ডাকাতদল।তার মধ্যে ২০১৪ সালে ১৫ জন ২০১৫ সালে ১৩ জন ২০১৬ সালে ৩ জন ও সর্বশেষ ২০১৭ সালে ৩ জন। এ ছাড়া পাহাড়ী এলাকার ধানক্ষেতের টংঘর থেকে বিভিন্ন সময়ে অারো ৫ জনকে অপহরন করে মুক্তিপন অাদায় ও বসতবাড়ীতে শতাধিক ডাকাতি সংঘটিত করেছিল ডাকাতদল।
ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী সড়ক ও ঈদগড় এলাকার বিভিন্ন বসতবাড়ীতে ডাকাতিসহ অাইনশৃংখলা পরিস্তিতি চরম ভাবে অবনতি হওয়ায় রামু থানার ওসি লিয়াকত অালীর নেতৃত্বে পুলিশ ঈদগড় এলাকায় ইতিপুর্বে চিরনি অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত একাধিক ডাকাত ও সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরন করছিল।এর পর দীর্ঘ দিন উক্ত সড়ক ও বসতবাড়ীতে ডাকাতি অপহরন বন্দ ছিল। সম্প্রতি জেলহাজতে থাকা এলাকার চিহ্নিত ডাকাত ও সন্ত্রাসীরা জামিনে মুক্ত হয়ে এসে অাবারো সংঘটিত হয়েছে। ফলে অাবারো সড়ক ও বসতবাড়ীতে ডাকাতি অপহরন শুরু হতে পারে বলে অাশংকা প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।
ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের পানের ছড়া ঢালা হিমছড়ি ঢালা অর্জুন বাগান গজালিয়া ও ধুমচ্ছাকাটা এই ৫ টি পয়েন্টে ও ঈদগড়-বাইশারী সড়কে ভেংডেভা রাস্তার মুখ অলির ঝিরি এই ২ পয়েন্টে ডাকাতদল হানা দিয়ে যাত্রীবাহি যানবাহনে ডাকাতি ও অপহরন করে গহীন অরন্যে নিয়ে মুক্তিপন অাদায় করে।উক্ত সড়কে ২ টি পয়েন্টে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত ফাঁড়ির ১ টি টহল পুলিশ চৌকি ও ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্পের ১ টি টহল পুলিশ চৌকি থাকলে ও বাকী জায়গা অরক্ষিত থাকায় ডাকাতদল নির্বিণ্ণে ডাকাতি অপহরন করতে পারে।ঈদগড় ইউনিয়নের অাইনশৃংখলা পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে রাখার লক্ষে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব লিয়াকত অালী নির্দেশে এস অাই সাদেকুর রহমান এ এস অাই মোরশেদ অালম ও ঈদগড় অার অার এফ পুলিশ ফাড়ির অাই সি অাবুল হাশেম সড়ক ও গ্রামে পুলিশ টহল জোরদার করেছে।
ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার শহিদুল ইসলাম জানান, পুলিশ ইতিপূর্বে অভিযান চালিয়ে এলাকার চিহ্নিত ডাকাত ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছিল। ফলে কিছুদিন অামরা শান্তিতে ছিলাম।কিন্ত তারা সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়ে এসে অাবারো সংঘটিত হয়েছে।ফলে যে কোন মুহুর্তে সড়ক ও বসতবাড়ীতে ডাকাতি অপহরন শুরু হতে পারে।
ঈদগড় সিএনজি মটর সমিতির সভাপতি অাব্দু সালাম জানান, জামিনে মুক্ত হয়ে অাসা সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরি করে তাদের উপর নজরদারি বৃদ্বি করতে হবে।
রামু থানার এ এস অাই মোরশেদ অালম জানান, যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে ঈদগড়ের অাইনশৃংখলা পরিস্তিতি উন্নত।সড়কে অামাদের পুলিশ টহল জোরদার রয়েছে।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত অালী জানান, বিষয়টি অামাদের গোয়েন্দা নজরদারীতে অাছে।অচীরেই ডাকাত ও অপহরনকারীদের গোপন অাস্তনা পাহাড় জঙ্গল ব্লক করে চিরুনি অভিযান চালানো প্রস্তুতি চলছে।তিনি স্তানীয় সাংবাদিক ও সচেতন নাগরিকদের সহযোগিতা কামনা করছে।
ঈদগড় এলাকার অাইনশৃংখলা পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে অাইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর পাশ্বাপাশ্বি স্তানীয়দের সহযোগিতা করতে হবে বলে মনে করেন অভিঙ্গমহল।