হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:
টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপে তছলিমা আক্তার (২০) নামে ১ সন্তানের জননী গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহত তছলিমা আক্তার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ কোনারপাড়া এলাকার শহিদ উল্লাহর স্ত্রী এবং শাহপরীরদ্বীপ মিস্ত্রীপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মোনাফের মেয়ে। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন নিহতে মা।
৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহিদ উল্লাহর বাড়ীর কক্ষে উপরের কাঠের সাথে উড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় তছলিমা আক্তারের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে গত কয়েক বছর আগে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সূত্র ধরে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক সন্তান জম্ম নেয়। বর্তমানে ওই সন্তানের বয়স ৯ মাস। কিছুদিন ধরে স্বামী শহিদ উল্লাহ নেশাগ্রস্ত হওয়ায় তাদের সংসারে সমস্যা দেখা দেয় এবং প্রায় সময় স্ত্রীকে নির্যাতন করত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। ঘটনার পর স্বামীর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয়রা।
এদিকে ঝুলন্ত লাশের খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুর আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শাহপরীরদ্বীপ এলাকার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে লাশের সুরুতহাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুর আলম জানান ‘এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে’।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।