আমান উল্লাহ আমান, টেকনাফ:
বুছিডং থানার চৌপ্রাং থেকে প্রতিবন্ধী বোন ছেনোয়ারা বেগম (২৫) কে কাঁধে নিয়ে দুই ভাই জোনাইদ (২১) ও আমির হাকিম (২৪) গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এসময় তাদের ব্রিজঢালা নামক বড় পাহাড়টি পাড়ি দিতে হয়েছে। অতিক্রম করতে হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। এতো কষ্টেও প্রতিবন্ধী বোনকে তাদের বোঝা মনে হয়নি। সাথে নিয়ে আসেনি কোন প্রয়োজনীয় মালামাল। রক্তের বাঁধন তাদের পৃথক করতে পারেনি। ভাই বোনের এ বন্ধন ও দৃশ্য সীমান্ত নগরী টেকনাফের মানুষকে ক্ষনিকের জন্য হলেও হৃদয় ছুঁয়েছে।
শনিবার টেকনাফ স্টেশনে দুই ভাইয়ের কাঁধে প্রতিবন্ধি ছেনোয়ারাকে দেখে ভাই আমির হাকিমের সাথে এপ্রতিবেদকের কথা হয়। সে জানায়, বোনকে কাঁদে করে ৫ দিন ধরে পাহাড়ী পথ, গ্রামের পর গ্রাম হেঁটেছি। প্রতিবন্দী বোনকে বোঝা মনে করিনি। নাফ নদী হয়ে নাইট্যংপাড়া সীমান্ত দিয়ে এপারে আসতে সক্ষম হয়েছি। ঘাটের মাঝিকে প্রতিবন্ধি বোনের জন্য ৪০ হাজার কিয়াত দিতে হয়েছে।
তিনি আরো জানান, জম্ম থেকে তার বোন ছেনোয়ারা প্রতিবন্ধি ছিলনা। বয়স ১৬ এর কাছাকাছি অবস্থায় ধীরে ধীরে অচল হয়ে যায়। প্রায় ৬ বছর ধরে একদম হাঁটতে পারেনা। তিনি তাদের একমাত্র আদরের বোন। তাকে কাঁধে করে হাঁটতে হলেও এতটুকু কষ্ট লাগেনি বলেও জানায় তারা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।