ডেস্ক নিউজ:
জাতিসংঘ সদর দফতরে গত মঙ্গলবার রুদ্ধদ্বার বৈঠকের দুইদিন পার না হতেই আবারও বৈঠকে বসছে জাতিসংঘের সবচেয়ে শক্তিশালী সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদ। এ নিয়ে এক মাসে তিন দফা বৈঠকে হচ্ছে।
এর আগেও রোহিঙ্গা ইসু্যতে দুই দফা আলোচনা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের উন্মুক্ত এই বৈঠকে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা ও জাতিগত নিধন বন্ধে একটি সিদ্ধান্তে আসতে পারেন বিশ্ব নেতারা। সেজন্য আজ সবার দৃষ্টি থাকবে সেদিকে।
জানা গেছে, প্রবল আন্তর্জাতিক চাপের মুখে আজ উন্মুক্ত বিতর্কে মিলিত হচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদ। বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হবে। সেখানে মিয়ানমার সরকার ও দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ আশা করছেন পুরো বিশ্ব। যদিও চীনসহ দুই/একটি দেশ নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থের কারণে ভেটো প্রদানের শঙ্কা রয়েছে। সেক্ষত্রে পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে। তারপরও রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সের মতো তিন স্থায়ী ও অন্য চারটি অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের জোরালো সমর্থন থাকার কারণে মিয়ানমারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা রয়েছে।
চ্যানেল নিউজ এশিয়ার খবরে বলা হচ্ছে, আজকের বৈঠকের রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা ও নির্যাতনের ওপর পদক্ষেপের নেওয়ার বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতারেস। এরপর নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা তাদের মতামত জানাবেন।
এদিকে, কানাডিয়া সংবাদ মাধ্যম গ্লোব অ্যান্ড মেইল পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে একযোগে কাজ করার জন্য আলোচনা শুরু করেছে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র। দুটি দেশ চাচ্ছে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন বন্ধ করতে। সোমবার রাতে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন বলেও জানানো হয়েছে।
সুত্র:বিডি প্রতিদিন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।