অনলাইন ডেস্ক : অবশেষে বহু বছর ধরে চলা প্রচারণার পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরবের ইতিহাসে এই প্রথম গাড়ি চালানোর অনুমতি পাচ্ছেন মেয়েরা।
বিশ্বের একমাত্র দেশ সৌদি আরব যেখানে মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি ছিল না। এ কারণে ক্ষোভ দিন দিন বাড়ছিল।
সৌদি বাদশাহ সালমান এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রি জারি করেছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছেন। দেশটির শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের কাউন্সিল এ পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছে। খবর বিবিসির।
‘মেয়েদের গাড়ি চালানোর মতো বুদ্ধি নেই’- এক সপ্তাহ আগে এক ধর্মীয় নেতার করা এমন মন্তব্যে অসন্তোষ যেন আরও উসকে দেয়।
সৌদি আরবের চরম রক্ষণশীল সমাজে মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়ার দাবিতে মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার। গাড়ি চালানোর অভিযোগে অনেক নারীকে কারাগারেও যেতে হয়েছে।
সৌদি সরকারের নতুন এ উদ্যোগকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিদার নাওর্ট বলেন, আমি মনে করি সে দেশের জন্য এটি সঠিক দিক-নিদের্শনার মহান পদক্ষেপ। তারা যে এ ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে, সে জন্য আমরা উচ্ছ্বসিত। আমি মনে করি এটি খুবই ইতিবাচক লক্ষণ।
সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে জানানো হয়েছে, রাজকীয় এই ডিক্রি মোতাবেক নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করা হবে। তবে ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে তা কার্যকর হবে।
যদিও বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি, তবে এই রাজকীয় আদেশে বলা হয়, প্রয়োজনীয় শরিয়াহ মানদণ্ড অনুসরণ করেই এ নির্দেশনা কার্যকর করা হচ্ছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।