প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মহা-পরিচালক, শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দা.বা.) ঘোষিত মিয়ানমারের আরাকানে মুসলমানদের উপর পৈশাচিক গণহত্যা, নির্যাতন ও বিতাড়ন বন্ধ এবং নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে রোহিঙ্গাদের আরাকানে ফেরত নেয়ার দাবীতে আগামী ৬ অক্টোবর কক্সবাজার ঈদগাহ ময়দানে মহাসমাবেশ ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
কর্মসুচি সফল করার লক্ষ্যে এক প্রস্তুতি সভা মঙ্গলবার বাদে জুহুর লিংকরোডস্থ মাশরাফিয়া মাদ্রাসা মিলনায়নতনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি মাওলানা আবুল হাসান।
কক্সবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন হাবিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের নায়েবে আমির ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মাওলানা হাফেজ তাজুল ইসলাম। কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা লোকমান হাকিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা মুজিবুর রহমান পেশোয়ারী, কক্সবাজার জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা হাফেজ ছালামত উল্লাহ, মাওলানা ক্বারী জহিরুল হক, মাওলানা নুরুল আলম আল মামুন, মাওলানা আ.হ.ম নুরুল কবির হিলালী, মাওলানা আবদুল মান্নান, মাওলানা হাফেজ মুবিনুল হক, আলহাজ¦ আমানুল হক আমান, মাওলানা আবদুচ্ছালাম কুদছী, মাওলানা আবদুর রহিম ফারুকী, মাওলানা সরওয়ার কামাল, মাওলানা হাফেজ শামশুল হক, মাওলনা নেজামুর রহমান, মাওলানা নুরুল হক চকোরী, মাওলানা এহতেশামুল হক, হাফেজ আজিজুল হক, মাওলানা এজাজুল করিম, মাওলানা মুফতি আনোয়ারুল হক, মওলানা মুহাম্মদ মূসা, মাওলানা জুনাইদ মাহমুদ, ছাত্রনেতা হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর, মুহাম্মদ দিদারুল আলম, মুহাম্মদ আতাউল্লাহ।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ৬ অক্টোবর শুক্রবার কক্সবাজারে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে মহাসমাবেশ সার্বিকভাবে সফল করার জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের দর্দশা অবর্ণনীয়। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু অভিভাবক হারা। বিভিন্ন ক্যাম্প ও এলাকায় শরণার্থীরা শিশুখাদ্য, পানি, ঔষধ ও স্যানিটেশনের তীব্র সংকটে রয়েছে। এসব রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য যার যার অবস্থান থেকে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব। হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে বিভিন্ন ক্যাম্পে মসজিদ, মক্তব, মাদ্রাসা নির্মাণ করা হবে। টিউবওয়েল বসানো এবং টয়লেট নির্মাণ করা হবে। তারা বলেন, বিভিন্ন মিশনারী এনজিওগুলো যেন সেবার অন্তরালে অসহায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের ধর্মান্তরিত করতে না পারে তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।