কালেরকন্ঠ :
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোহিঙ্গাদের সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে যাত্রীদের পরিচয়পত্র যাচাই করার জন্য কক্সবাজারের সকল বাস ও পরিবহন মালিকদের নির্দেশ দিয়েছে। রোহিঙ্গারা তাদের অস্থায়ী আশ্রয় শিবির থেকে বেরিয়ে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কার প্রেক্ষিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সোমবার বলেন, ‘আমরা কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় শিবির থেকে বেরিয়ে যাওয়া ঠেকাতে চাইছি। ’
তিনি আরো বলেন, ওই এলাকায় যে কোন ধরনের পরিবহনের যাত্রীকে অবশ্যই ছবিসহ পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী চেকপয়েন্ট বসিয়েছে।
এর আগে, পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হক জানান, ২৫ আগস্ট মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে নতুন করে জন¯্রােত শুরু হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দুই শতাধিক রোহিঙ্গাকে আটক করে কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর, পুলিশ মানিকগঞ্জ থেকে ২০ রোহিঙ্গাকে আটক করে কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছে।
পুলিশ সদরদপ্তরের এই কর্মকর্তা জানান, ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশের সদর দপ্তর থেকে রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কক্সবাজার, বান্দরবান ও চট্টগ্রামের সুপারিন্টেন্ডেন্স (এসপি)দের কাছে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। এরা হচ্ছেন বিশেষ শাখার (এসবি) এআইজি, র্যাবের ডিজি ও সিএমপি কমিশনার।
রোহিঙ্গারা যেন কক্সবাজার থেকে বেরিয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য তিন জেলার পুলিশের প্রধান কর্মকর্তাদের সড়ক, নৌ ও আকাশপথে গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পার্শ্ববর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে এই রোহিঙ্গারা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।