আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের মধ্যে সংলাপের তাগিদ দিয়েছে চীন। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে একটি বৈঠকে চীন এ তাগিদ দেয়। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিবৃতিতে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, চীন চায় মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সংলাপ এবং সমঝোতার ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করুক।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যে চলমান সঙ্কট নিরসনে মিয়ানমার সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে চীন। জাতিসংঘ মহাসচিবকে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখা ও যেকোনো সহিংস সন্ত্রাসী হামলা ঠেকানোর ক্ষেত্রে দেশটির প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে চীন।
তিনি আশা করেন, খুব শিগগিরই রাখাইনের ‘সংঘাতের আগুন’ নিভে যাবে। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, চীন বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ব্যাপারে সহানুভূতিশীল এবং শিগগিরই সেখানে মানবিক সাহায্য পাঠাবে।
উল্লেখ্য, রাখাইন রাজ্যে গত ২৫ আগস্ট অন্তত ৩০টি পুলিশ চৌকি ও একটি সেনা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসা’র যোদ্ধারা প্রবেশের চেষ্টা করে। এরপর থেকে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রাখাইনে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযানের নামে নির্বিচারে রোহিঙ্গাদের হত্যা, ধর্ষণ ও ঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ইতোমধ্যে পাঁচ হাজারের অধিক রোহিঙ্গাকে হত্যা করার খবর দিয়েছে। যদিও মিয়ানমার সরকার বলেছে, তাদের অভিযানে ৪০০ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। আর নির্যাতনের মুখে প্রায় ৪ লাখ ১০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের ওপর ‘জাতিগত গণহত্যা’ চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে রাখাইনের সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু, মিয়ানমার সরকার এসব নাকচ করে রাখাইনের মুসলিম বিতাড়নের অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
সূত্র: এএফপি ও দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।