সিবিএন ডেস্ক:
বিভিন্ন পত্রিকা ও সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে সেই মায়ের চিকিৎসা শুরু হলো। বরিশালের বাবুগঞ্জ ইউএনও সে মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মনোয়ারা বেগম নামের সেই মায়ের চিকিৎসার দায়ভার নেয়ার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিরা এগিয়ে আসেন। বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ মো. টিপু সুলতান বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায়কে মনোয়ারা বেগমের চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগমের বাড়িতে গিয়ে তাৎক্ষণিক বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে দুপুর ১২ টায় সংসদ সদস্য টিপু সুলতান উপস্থিত থেকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করিয়েছেন। বর্তমানে মনোয়ারা বেগম শেবাচিম হাসপাতালের ৪র্থ তলায় অর্থোপেডিক বিভাগে ৪০৩ নম্বর কক্ষের বি-১৩ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন।
৬ সন্তানের প্রত্যেককে কম-বেশি শিক্ষিত করে গড়ে তুলেছেন আয়ুব আলী-মনোয়ারা দম্পতি। তাদের মধ্যে ৩ সন্তান এএসআই ও একমাত্র কন্যা শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। অন্য ২ সন্তানের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, অন্যজন ইজি বাইক ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। অথচ তাদের গর্ভধারিণী মায়ের দুর্ভাগ্য যে, তিনি শেষ বয়সে এসে দুটো ভাতের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভিক্ষা করছেন।
এদিকে, বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগমের স্কুল শিক্ষিকা মেয়ে মরিয়ম সুলতানাকে মাকে অযত্নে-অবহেলায় রাখা ও খোঁজ-খবর না নেওয়ার অভিযোগে শোকজ করেছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কেএম তোফাজ্জল হোসেন।
বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে তিনি বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ মনোয়ারা বেগমকে আর্থিক সহায়তা করেন। এছাড়াও তার পুলিশ ছেলেদের বিরুদ্ধে মাকে অযত্নে- অবহেলায় রাখার কারণে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।