রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কুতুপালং মধুরছরা গুলশানপাহাড়ে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। এসময় আরও কয়েকজন রোহিঙ্গা নারী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন, শামশুল আলম (৫৫) ও তার দু’বছর বয়সী ছেলে ছৈয়দুল আমিন। শামশুল আলম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বলিবাজার ফকিরের ডেইল এলাকার নুরুল আলমের ছেলে। তারা সম্প্রতি আশ্রয়ের আশায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. কায় কিসলু স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে জানান, রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে অকস্মাৎ হাতির পাল আক্রমণ করে। সেখানে সম্প্রতি ঘর করে বাস করা রোহিঙ্গারা হাতির পাল তাড়াতে চেষ্টা করে।
এসময় লোকজনের উপর আক্রমণ করে বসে হাতি। সামনে পড়ে যাওয়া শামশুল ও তার ছেলেকে সুড়ে প্যাঁচিয়ে আছাড় দেয় হাতি।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আরো কয়েকজন নারী আহত হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। যাদের কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এখানে চিকিৎসারতদের কোনো তথ্য পাওয়া দুরহ হওয়ায় আহতদের নাম জানা তৎক্ষণাৎ সম্ভব হয়নি।
রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, তার ইউনিয়নের কুতুপালং মধুরছরা গুলশানপাহাড় দুর্গম এলাকা। এবার আসা রোহিঙ্গারা দুর্গম পাহাড়েও ঝুপড়ি তুলে বাস করছে, যা হাতির নিয়মিত বিচরণ ক্ষেত্র। নিহতদের স্থানীয় ভাবে দাফন করা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।