অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজারে মিয়ানমারের দু’জন সাংবাদিককে আটক করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জার্মানির ম্যাগাজিন জিইও। আটককৃত দু’জন ফটো সাংবাদিক হলেন- মিনজাইয়ার ওও এবং তার সহযোগী হকুন লাত। তাদেরকে ৭ই সেপ্টেম্বর থেকে আটক
রাখা হয়েছে। এর মধ্যে মিনজাইয়ার হলেন বৃটিশ ফটো এজেন্সি পানোস পিকচার-এর সদস্য। তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে জার্মান ম্যাগাজিন জিইও’র হয়ে কক্সবাজারে কাজ করছিলেন। এ খবর দিয়েছে মিয়ানমারের অনলাইন দ্য ইরাবতী, মিজিমা। এতে বলা হয়, জিইও ম্যাগাজিনের জন্য কাজ করা মিনজাইয়ারকে আটক করায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ১৫ই সেপ্টেম্বর একটি প্রেস রিলিজ দিয়েছে জিইও। এতে বলা হয়েছে, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা মিয়ানমারের নৃশংসতা থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশের কক্সবাজারে। এখানেই রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে রিপোর্ট করতে এসেছিলেন ওই দুই সাংবাদিক। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, পেশাগত ও সাংবাদিকতায় সততার কারণে তাদের জিইও ম্যাগাজিন রোহিঙ্গা ইস্যুতে এসাইনমেন্ট দিয়েছিল। এর মধ্যে মিনজাইয়ার ওও হলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন সাংবাদিক। তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পুরস্কার বিজয়ী। তার তোলা ছবি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ করা হয়। বিশ্বের সবচেয়ে অভিজাত পুরস্কারের অনেকগুলো তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। জিইও’র সম্পাদকীয় পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয় জিইও ম্যাগাজিনের সম্পাদকীয় পরিষদ, স্টাফ ও প্যানোস পিকচার্সের ফটোগ্রাফাররা এ দু’জন সাংবাদিককে আটক ও তাদের জামিন প্রত্যাখ্যান করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি রিপোর্টে বলেছে যে, আটক দু’সাংবাদিকের আইনজীবী বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। পরিচয় গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, তারা অবৈধভাবে ‘ইনকারেক্ট’ ভিসায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন এবং সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছিলেন। এ বিষয়ে কক্সবাজার পুলিশ প্রধান রঞ্জিত কুমার বড়ুয়া এএফপি’কে বলেছেন, ওই দু’সাংবাদিকের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে কেন তিনি সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলেননি। এ বিষয়ে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের অফিসের মুখপাত্র ইউ জাও হতাইয়ের সঙ্গে শুক্রবার ফোনে কথা বলার চেষ্টা করে ইরাবতী পত্রিকা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেখান থেকে মন্তব্য করার মতো কাউকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) শুক্রবার বাংলাদেশের প্রতি ওই দুই সাংবাদিককে তাৎক্ষণিকভাবে ছেড়ে দেয়ার ও তাদের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ বাতিল করে দেয়ার আহ্বানও জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, বিশ্বের প্রধান একটি খবর নিয়ে কাজ করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা উচিত নয় বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের।