বিশেষ প্রতিবেদক:
শিক্ষাগত সনদ জালিয়াতি করে কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির (এডভোকেট ক্লার্ক) সদস্য হওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ কারণে প্রকৃত সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠছেন। শফিউল আলম (শফি) নামে এক ব্যক্তি শিক্ষাগত সনদ জালিয়াতি করে সমিতির সদস্য হওয়ার অভিযোগে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে। গত বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আবুল অফা মুহাম্মদ খালেদ (কার্ড নং-৭১৮) নামের আরেক আইনজীবী সহকারী মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কক্সবাজার সদর থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী উত্তর রুমালিয়ার ছড়ার মৃত মোস্তাক আহমদের ছেলে। অভিযুক্ত শফিউল আলম (শফি) কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা বাংলাবাজার এলাকার মৃত ইসাক সওদাগরের ছেলে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শফিউল আলম (শফি) এসএসসি পাশ করে না করেও ভুঁয়া সনদ দিয়ে সমিতির সদস্য হয়েছে। তিনি ৮/৮/১৯৯২ সালে মানবিক বিভাগে ক্রমিক নং- ৪০৮২৪১, রোল-কক্স-নং ৩৯৯ মূলে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের সার্টিফিকেট জাল করে বিগত ৭/২/২০১২ সালে আইনজীবী সহকারি সমিতিতে সদস্য হওয়ার আবেদনের মাধ্যমে সমিতির সদস্য হন। কার্ড নং- ৬৯৮।
বাদী জানান, ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শফিউল আলম শফির সনদ ভুঁয়া ও জাল বলে অভিযোগ করে আইনজীবী সহকারি সমিতিতে আবেদন করেন। ওই আবেদন গ্রহন করে ৫ অক্টোবর তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বিবাদীর বিরুদ্ধে নোটিশ ইস্যু করেন।
পরবর্তীতে বিবাদী যে বিদ্যালয়ের (ভারুয়াখালী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়) সনদ জমা দিয়েছেন সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল আমিনের কাছ থেকে বিবাদীর শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য দাখিলের জন্য পত্র প্রেরন করেন। যার স্মারক নং- ১৪২/২০১৫। পরে স্কুলের ৩৮/২০১৫ নং স্মারকে প্রেরিত পত্রে শফিউল আলম (শফি) নামের কেউ স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেনি বলে প্রতিবেদন দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডেও সংশ্লিষ্ট কোন প্রমাণ নেই।
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাছান জানান, ভূঁয়া সনদে সদস্য হওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন আরেক সদস্য। থানার কাছ থেকে প্রতিবেদন চেয়েছে আদালত। সমিতির পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।