রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তিন পর্যায়ে তৎপরতা চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ চলছে এবং সরকার এতে অনেকটা সফল। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা এই সাফল্যের স্বাদ পাবো।’ শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণকালে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
ইনু আরো বলেন, ‘মিয়ানমার সরকারের কোনও অজুহাতই গ্রহণযোগ্য নয়। তারা গণহত্যা এবং জাতিগত নিপীড়ন চালাচ্ছে। এ কারণেই দেশে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে। এ সংকটকালে প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সমস্যা সামনে না এনে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে যে ভূমিকা রেখেছেন তা আন্তর্জাতিক মহলের নজর কেড়েছে।’
শনিবার ক্ষমতাসীন ১৪ দলের পক্ষ থেকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়াসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা শাখার নেতা-কর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্টের পর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তথাকথিত ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের মুখে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে রাখাইনের সামরিক অভিযানে ‘মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ’র অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেখানে চলমান সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ত্রাণকর্মীদের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।