জসিম উদ্দিন টিপু, টেকনাফ:
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের মাঝে যে যার মত যত্রতত্র ত্রাণ বিতরণ করছে। রোহিঙ্গাদের মাঝে প্রদত্ত ত্রাণ বিতরণে এক ধরণের বিশৃংখলা দেখা দিয়েছে। অব্যবস্থাপনার কারণে অসহায় রোহিঙ্গাদের কেউ বার বার ত্রাণ পাচ্ছে আবার কেউ মোটেও পাচ্ছেনা। মূলত সমন্বয়হীনতার অভাবে এমনটি হচ্ছে বলে জানা গেছে। নিজ দেশে নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যেন প্রত্যেকে সুন্দরভাবে ত্রাণ পেতে পারে সে জন্য টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে একটি “ত্রাণ নিয়ন্ত্রণ সেল” খোলা হয়েছে। উক্ত ত্রাণ নিয়ন্ত্রণ সেল বা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সমন্বয়কের দায়িত্বে আছেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রণয় চাকমা। এ সেলের প্রধান হিসেবে দায়িত্বে আছেন যথারীতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক। ত্রাণ দিতে আগ্রহী সংশ্লিষ্ট সকলকে উপজেলা প্রশাসনের ত্রাণ নিয়ন্ত্রণ সেলের ০১৭৩৩-৩৭৩২০৮ এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিরেখে যেখানে সেখানে ত্রাণ দেওয়ার কোন নিয়ম নেই। নিয়ন্ত্রণ সেলের অগোচরে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়েই নানান ধরণের জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। সবলরা বার বার ত্রাণ পাচ্ছে, দুর্বলরা মোটেও পাচ্ছেনা। এক জায়গায় একাধিকবার ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। অন্যদিকে অনেক জায়গায় নিষ্পেষিত রোহিঙ্গা জনগোষ্টির কাছে এখনো পর্যন্ত কোন ধরণের ত্রাণই পৌঁছেনি। ফলে উপজেলা প্রশাসনের ত্রাণ নিয়ন্ত্রণ সেলের প্রদত্ত নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সমন্বয়ক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রণয় চাকমা।
টেকনাফে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণ সমন্বয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।