এস. এম. তারেক, ঈদগাঁও:
কক্সবাজার সদরের জালালাবাদে জমি রিবোধ ও এলাকায় আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিহত শামশুল আলমের (প্রকাশ- পাকিস্থানী) লাশের ময়না তদন্ত শেষে গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর বাদ মাগরিব স্থানীয় মধ্যম বাহারছড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাজের জানাযা শেষে ওই মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শামশুল আলমের পারিবারিক সূত্র জানায়, এ ঘটনায় মামলা রজুর প্রস্ততি চলছে। প্রসংগত, গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর ) সন্ধ্যা ৭ টা’য় মাগরিবের নামাজের পর জালালাবাদ ইউনিয়নের মধ্যম বাহারছড়া গ্রামের মৃত ইলিয়াছের পুত্র নিহত শামশুল আলম এবং একই গ্রামের গোরা মিয়ার পুত্র নুরুল হক স্থানীয় জহির আহমদের দোকানে বসে খোশগল্প করছিলেন। এ সময় একই এলাকার আবদুর রহমানের পুত্র আবছারের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা আরো ৬/৭ জন জমি বিরোধ ও এলাকায় আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে কথাকাটি হতে থাকে। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আবছারের নেতৃত্বে তার অন্যান্য সাঙ্গপাঙ্গরা শামশুল আলমকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকলে শামশুল আলমের পাশে বসে থাকা অপর আহত নুরুল হক শামশুল আলমকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসেন। এ সময় দুবৃর্ত্তরা তাকেও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। আহতদের শোর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শামশুল আলমকে মৃত ঘোষনা করেন। দোষীদের পাকড়াও করতে ঘটনার পর থেকে অদ্যবধি ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ব্যাপকভাবে অভিযান চালালেও সংঘঠিত ঘটনায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।
তবে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ খায়রুজ্জামান জানিয়েছেন, ঘটনার পরপরই জড়িতরা আতœগোপন করায় তাদের অবস্থান সনাক্ত করতে একটু সময় যাচ্ছে। শ্রীঘ্রই জড়িতদের আটক পূর্বক আইনের আওতায় আনা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।