ওয়াশিংটন পোস্ট
রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর তাণ্ডব বন্ধের জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আইন প্রণেতারা। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নারী, শিশু নির্বিশেষে নির্যাতন, গণহত্যা ও ধর্ষণের জেরে চার লাখ রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর বৃহস্পতিবার তারা মিয়ানমারের প্রতি এ আহ্বান জানান।
মিয়ানমারের প্রতি ইইউ আইন প্রণেতাদের দাবি, অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণ বন্ধ করাসহ তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়াও বন্ধ করতে হবে। রাখাইনের সহিংসতাপূর্ণ এলাকা এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেয়া স্থানে দুর্যোগ সহায়তা দানকারী বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থাকে প্রবেশের আহ্বান জানিয়েছেন এবং তাদের প্রবেশে সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিও অনুরোধ করেন।
জাতিগত ও ধর্মীয়ভাবে বিদ্বেষ ছড়ানো এবং সামাজিক বৈষম্য ও সহিংসতা মোকাবেলায় যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে মিয়ানমার সরকার এবং শান্তিতে নোবেল জয়ী নেত্রী অং সান সু চির প্রতি তারা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
ইইউ আইন প্রণেতারা আরও উল্লেখ করেন, মানবাধিকার রক্ষার জন্য সংগ্রাম এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি আন্তর্জাতিক আইনানুসারে সম্মান প্রদর্শনের কারণেই সু চিকে শান্তিতে নোবেল দেয়া হয়েছে। অথচ সু চির বর্তমান কার্যকলাপে তারা অত্যন্ত ব্যথিত।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাণ্ডবে জীবন বাঁচাতে গত ২৫ আগস্টের পর থেকে চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। তাদের মধ্যে নারী এবং শিশুর সংখ্যাই বেশি।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা সেখানে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ এবং গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দেয়াকে জাতিগত নিধন হিসেবে উল্লেখ করেছে। সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমার সরকার এবং অং সান সু চিকে চাপ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মহল। তারপরও সহিংসতা সমানহারে চলছে। বাংলাদেশে আসছে হাজার হাজার শরণার্থীর ঢল।
এদিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান জেইদ রাদ আল হুসেইন রাখাইন প্রদেশের সহিংসতার ঘটনাকে পাঠ্যপুস্তকে পঠিত জাতিগত নিধনের উদাহরণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।