মো: আকতার হোছাইন কুতুবী :

প্রশংসিত হওয়াটা সত্যিই আনন্দের বিষয়। দৃষ্টিনন্দন সদরের খুরুশকুলে গড়ে উঠা ১০ একর জমিতে প্রকল্প ও খামারটি চমৎকারভাবে সুসজ্জিত দেখার মতো স্পটে পরিণত হয়েছে। বিশাল এ প্রকল্পটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসূরী, দেশরতœ জননেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বাড়ি ও একটি খামার প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই ছোট্ট খামারটি আজ বিশাল একটি প্রকল্পে পরিণত হয়েছে। বলতে গেলে কোন ভ্রমণ পিপাসু মনা মানুষ একবার যদি প্রকল্পের মধ্যে ঢুকে পড়ে তার সমস্ত হৃদয় চাইবে আরো কিছুক্ষণ থেকে তার সৌন্দর্যকে অবলোকন করতে। বেশ কয়েকবার আমার সৌভাগ্য হয়েছিল প্রকল্প ও খামারটি দেখার। রুচিশীল ও নিপুনভাবে কারুকাজে গড়ে উঠা প্রকল্প ও খামারের মালিক মোহাম্মদ আলমগীরের আন্তরিকতায় তার নিজস্ব অর্থায়নে গড়ে উঠা বিশাল একটি মাছের ঘের, ৪টি বড় বড় পুকুর চারিদিকে নিরাপত্তা বেষ্টিত ঘেরা, বিভিন্ন রকমের মনজুড়ানো ফুলের বাগান, ফলফলাদির সমাহার (পেয়ারা, আম, জাম, লিচু, নারিকেল, পেঁপে, আপেলকুল, আমড়া, কলাসহ কতোরকম গাছের সমাহার। বিশাল এই প্রকল্প ও খামারটি চারিদিক ঘুরে আমি নিজেও হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। উত্তরদিকে গড়ে তোলা হয়েছে হাঁস, ছাগল, ভেঁড়ার লালনপালনের শেড (থাকার ঘর), দক্ষিণ দিকে ডেইরি ফার্ম করার জন্য শেড নির্মিত, পূর্ব পশ্চিমে দেখা গেল চোখজুড়ানো পুকুর। ঠিক প্রকল্পের মধ্যখানে গড়ে তোলা হয়েছে দোতলা বিশিষ্ট খামারবাড়ি। যেখানে ছাদের ওপরে কবুতর, কোয়েলের কলকাকলির শব্দে যেনো প্রাণজুড়িয়ে যায়। আসলে নিউজটি লিখতে বসেছিলাম রাষ্ট্রীয়ভাবে অভিনন্দিত হওয়ার বিষয়ে। কিন্তু মন কেমন জানি বারবার ছুটে যায় নিজ চোখে দেখা প্রকল্প ও খামারের দৃষ্টিনন্দন চিত্রগুলোর দিকে। কোন ধরনের ব্যাংক লোনবিহীন এত বিশাল প্রকল্প ও খামারের স্বীকৃতি পাওয়াটা তেমন কিছুই নয়। কারণ দল ও নেতানেত্রীকে ভালোবেসে নিজ উদ্যোগে এবং অর্থায়নে ১০ একর ভূমিতে প্রায় ৩ কোটি টাকার মতো অর্থ ব্যয় করে বাস্তবায়ন করা সত্যিই অবাক লাগার মতো।
জানা যায়, বাংলাদেশ আওয়ামী যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদিকা হাসিনা আকতার রিটা নেত্রীর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প গড়ে তোলার জন্য। স্বার্থ যেখানে থাকেনা সেখানে এরকম প্রকল্প বাস্তবায়ন করা নেত্রীর আদেশকে সম্মান জানিয়ে ইতিহাস রচনা করা খুবই কম নেতাকর্মীর ভাগ্যেই জোটে।
কক্সবাজারের যুব মহিলা লীগের তৃণমূলের নন্দিত নেত্রী হাসিনা আকতার রিটা প্রমাণ করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুৃর আদর্শকে বুকে ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থেকে যেকোন ধরনের বড় কিছু বাস্তবায়ন করা মনমানসিকতা ও দল এবং নেতার প্রতি শতভাগ ভালবাসা ও বিশ^াস।
২০০৫ সালে গড়েওঠা ছোট্ট প্রকল্প ও খামারটি আজ ভালোলাগা মনের মানুষদের দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।
খুরুশকুলের কিছু হিংসুটে মানুষ নামধারী ও দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা সুবিধাবাদীরাও আজ প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কারণ ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বয়ং মহান রাব্বুল আল আমিন দিয়ে থাকেন। তাঁদের মনেও হয়ত জাগ্রত হয়েছে ভালো কাজ যারা করে, দলের প্রতি যারা কমিন্টম্যান্ট রক্ষা করে তাদেরকে দমিয়ে রাখা যায় না।
সম্প্রতি মৎস্য দিবস পালিত হয় সারা বাংলাদেশে। জননেত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করে সারা দেশের মৎস্য প্রেমীদের উৎসাহিত করেছেন। সম্মাননা দিয়েছেন। অভিনন্দন জানিয়েছে। প্রশংসিত করে তাদেরকে আরো জাগ্রত করেছে। ঠিক তেমনিভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব, মৎস্য খামারের ডিজি, প্রাণি সম্পদ খামারের ডিজিসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ের পিআরও মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত অভিনন্দন ও প্রশংসনীয় সম্মাননাটি প্রেরণ করেন কক্সবাজারে সাড়াজাগানো দম্পত্তি রিটা আলমগীরের কাছে। এ ব্যাপারে আলমগীর মৎস্য প্রকল্প ও খামারে স্বত্ত্বাধিকারী মো. আলমগীর এক আলাপচারিতায় বলেন, আমার আকাক্সক্ষা ও ইচ্ছা এই প্রকল্প হবে দেশের সেরা একটি প্রকল্প। যেটা উদাহরণস্বরূপ এদেশের মৎস্য ও খামার ব্যবসায়ীরা শিক্ষনীয় হিসেবে নিয়ে যাতে তারা এদেশের বেকার যুবসমাজকে স্বাবলম্বী করার জন্য উদ্যোগ নিয়ে বাস্তবায়ন করতে পারে। তখন অনেকাংশে এদেশ থেকে বেকারের সংখ্যা হ্রাস পাবে। তিনি ও খামারের উদ্যোক্তা হোটেল কল্লোল লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক, সাহিত্য ও সঙ্গীতপ্রেমী হাসিনা আকতার রিটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব, অতিরিক্ত সচিব, ডিজি, পিআরওসহ সাংবাদিক এবং প্রকল্পের শুরু থেকে যারা পরিশ্রম করে মেধা নিয়োগ করে আজ এতদুর এগিয়ে নিয়েছেন তাদেরকে এক সমুদ্র ভালোবাসাসহ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। রিটা আলমগীর দম্পত্তি উচ্ছ্বাসিত কণ্ঠে বলেন, দেশ মা মাতৃকার টানে ও দলের নেত্রীর নির্দেশকে বাস্তবায়ন করার জন্য যখন যে নির্দেশনা আসবে জীবনের সমস্ত কিছু দিয়ে বাস্তবায়ন করবো ইন্শে আল্লাহ্ ।
উল্লেখ্য যে, কক্সবাজার শহরে জন্ম নেওয়া সাদামনের মানুষ, এক সময়ের সংস্কৃতিপ্রেমী মো. আলমগীর কক্সবাজারের স্বনামধন্য আইনজীবী ও সমাজসেবক মরহুম এডভোকেট ফজলুল করিমের তৃতীয় সন্তান ও বাম রাজনীতির কক্সবাজারের অন্যতম পথিকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আহমদের দ্বিতীয় জামাতা। তিনি প্রকল্প ও খামার দেখভাল করার পাশাপাশি নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের সেবার মানোন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠিত স্যাফায়ার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। যেহেতু সংস্কৃতিপ্রেমী ও কাব্যিকমনা মানুষ সেহেতু লেখালেখির অভ্যাসটাও তেমন একটা কম নয়। তাই সম্প্রতি তাঁকে রাষ্ট্রীয় ম্যাগাজিন জাতির আলো’র কক্সবাজার-চট্টগ্রামের অফিস প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রিটা আলমগীর দম্পত্তির দুই সন্তান-সন্তুতি সামিন ও সামিয়া। সবকিছুর পাশাপাশি তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্যও মনোনিবেশ হয়ে যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে গড়ে