বার্তা পরিবেশক :

সরকার প্রতি উপজেলায় একটি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন স্থাপনের ঘোষণা দেন। এরই সুত্র ধরে টেকনাফে একটি মসজিদ স্থাপন নিয়ে দু‘পক্ষের পাশাপাশি খোদ দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। স্থানীয় জনসাধারণ এই ব্যাপারে সরকারের উচ্চ মহলের দ্রুত হস্তক্ষেপ করেছেন।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০১০সালে সরকার দেশের প্রত্যেক উপজেলায় ১টি করে মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের জন্য স্থান নির্ধারণের নির্দেশ দেওয়ার পর পরই টেকনাফ সদরের লেংগুরবিল মহিউচ্ছুন্নাহ বালিকা মাদ্রাসা সংলগ্ন স্থানে মরহুম নজির আহমদ সিকদার কর্তৃক ২০ শতক জমি বিনামূল্যে বিএস দাগ ১০৬৩০এর উপর দানপত্র কবলামূলে দান করেন। সে হিসেবে নামজারীও চূড়ান্ত হয়। গ্রহণযোগ্য ও মহাসড়ক সংলগ্ন হওয়ায় স্থানীয় এমপি ও টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের সুপারিশ সহকারে প্রস্তাবটি তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম নাজিম উদ্দিন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক গিয়াস উদ্দিন আহমদ ও ইফার ডিডি আহমদ মিয়াজীর সমন্বয়ে জেলা কমিটির প্রস্তাবটি ধর্ম মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়। হঠাৎ স্থানীয় এমপি এই সিদ্বান্ত পাল্টিয়ে টেকনাফ সীমান্ত বিওপি ফাঁড়ীর পার্শ্ববর্তী জমিনে পৃথক ১টি মডেল মসজিদের প্রস্তাবনা গত ০৮-০৮-১৭ ইং টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক কক্সবাজার জেলায় প্রেরণ করার সংবাদে স্থানীয় জনসাধারণ ও আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি উদ্বেগ হয়। এই ব্যাপারে গত ১৫আগস্ট উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত হোটেল মিল্কি রিসোর্টের শোকসভার সমাবেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মোঃ আলী উক্ত ০৮-০৮-১৭ তারিখে পাঠানো প্রস্তাবটি এমপির নিজ স্বার্থে করেছেন বলে দাবী করেন। তাই উক্ত প্রস্তাবটি দ্রুত বাতিল করে পূর্বের প্রস্তাবিত স্থানে এই মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।