মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা,
পরম শ্রদ্ধা ভক্তি ও মুজিবীয় সালাম গ্রহণ করুণ। আমি আপনার রাজনীতির মজলুম নিবেদিত কর্মী। আপনি আজ সমুদ্র নন্দিনী নদী মেখলা সবুজে শ্যামলা বিশ্বের অনন্য স্বাস্থ্যকর স্থান কক্সবাজারে আসছেন। আপনাকে এই বারআউলিয়া পূণ্যভূমি দরিয়ানগরের আলোকিত মানুষের পক্ষ থেকে আমার কলব নিংড়ানো ভালোবাসা ও সংগ্রামী অভিবাদন।
বিশ্ব ভূ-রাজনীতি ও ভূ-প্রাকৃতিক সম্পদ, জল সম্পদ রক্ষার আন্দোলনে অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞ বিশ্ব নন্দন রাজ্যে ভূয়শী প্রশংসা অর্জন করেছে। তারই আলোকে আরও একটি মানবিক বিপর্যয় রাষ্ট্রীয় দস্যুতার বিপরীতে, রাষ্ট্র সৃষ্ট রোহিঙ্গা দুর্যোগে আপনার মানবিক হৃদয়ের উদারতার বহিঃপ্রকাশ পূর্বেই পেয়েছি। তারই বাস্তব কর্ম প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ দর্শনের জন্য ককসবাজারে আপনার আগমন।
মাননীয় নেত্রী,এই আলোকে আপনার আগমনের প্রেক্ষাপটে আমার এই খোলা চিঠি। ১৯৭১ সনে মহান মুক্তিযুদ্ধে আপনার বাবা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রায় ২৪ বছর ঠিকানাবিহীন বাঙালি জনগোষ্ঠি অধিকার স্বাধিকার স্বায়ত্বশাসন সর্বোপরি বাঙালির একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের যে ভূমিকা রেখেছেন তার অনন্য স্বীকৃতি স্বরূপ আজকের বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশের তারই কন্যা হিসেবে আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত হিসেবে বিবেচ্য এবং প্রনম্য। মিয়ানমার (বার্মা) প্রেক্ষাপটটি আর ও ভিন্ন তারই একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আপনার সামনে উপস্থিত করতে চাই।
বিট্রিশ সা¤্রাজ্যবাদের কলোনির পূর্বে আরাকান সা¤্রাজ্য (বর্তমান রাখাইন প্রদেশ) একটি স্বাধীন সার্বভৌম প্রাচ্যের ডান্ডি হিসেবে আলোকিত চিত ছিল। সেই রোহিঙ্গা রাজবংশে ভারত উপমহাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য শিল্প¯্রষ্টা কবি সাহিত্যিক সঙ্গীত শিল্পী বুদ্ধিজীবী লালিত পালিত এবং আতিথ্য গ্রহণ করেন। এর মধ্যে আমাদের বাংলা সাহিত্যে মহাকবি আলাওল রোহিঙ্গা রাজসভায় বসে মহাকাব্য পদ্মাবতীসহ বহু কাব্য রচনা করেন। তারই পাশাপাশি দৌলত কাজী, মাগন ঠাকুর, নসরুল্লাহ খন্দকার, আবদুল হাকিম প্রমুখ। জীবিকা নির্বাহের তাড়নায় আকিয়াব শহরে-পাথুরে কিল্লায় ভাগ্যান্বেষণে যান বাংরা সাহিত্যের প্রখ্যা কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, তিনি সেখানে বসে শ্রীকান্ত উপন্যাস রচনাকরেন। রোহিঙ্গা রাজসভার রাজার আমন্ত্রণে আতিথ্য গ্রহণ করতে যান বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তিনি সেখান থেকে ফিরে রাজর্ষি উপন্যাস ও দালিয়া ছোটগল্পটি লিখেন। দালিয়া ছোটগল্পকে ‘আরাকানের মহারানী’ নামে নাটকে রুপদান করেন এবং কলকাতা ও লন্ডনে প্রায় শতাধীকবার মঞ্চায়ন করেন। বাংলার জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম ও আব্বাস উদ্দীন রোহিঙ্গা রাজসভার আমন্ত্রণ থেকে বাদ যায় নি। নদী ও সমুদ্র ভ্রমণে দশটিরও অধিক গান রচনা করে আব্বাস উদ্দীন তা কণ্ঠে ধারণ করেন। যে গানগুলো আমাদের ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে পরিগণিত। পশ্চিমা ও সাম্প্রদায়িক ডামাঢোলে বাংলা সাহিত্যেকে‘ অন্ধকার যুগ’ বলে যে অপবাদ চাপানো হয়েছিল সেই অপবাদকে আলোকায়ন করেন আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ। তিনি স্ব-উদ্যোগে আরাকানে গিয়ে ভঙ্গুর আরাকান রাজসভা থেকে আমাদের মূল্য সম্পদ পুথিসাহিত্য, মহাকাব্য ও অন্যান্য সাহিত্য সমগ্র উদ্ধার করেন। যে পুথিগুলো তিনি পরে বাংলা সাহিত্যকে উদ্ধার করেন।
সংগীত ও নৃত্য-নাট্যে আমরা যে সমৃদ্ধির কথা বলি তার অনন্যটা নৃত্যুগুরু বুলবুল চৌধুরী। তিনি আরাকান রাজসভাকে ঘিরে প্রাচাত্যের বিপরীতে প্রাচ্যের যে লোকমানসের সত্তাকে ভিত্তি করে ৫টিরও অধিক গীতিনৃত্য রচনা করেন এবং মঞ্চস্থ করেন। এই আরাকান রাজসভার বিপর্যয়ের পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন রোহিঙ্গাদের উপর সাম্প্রদায়িক জাতি নিধনকে ঘিরে ‘প্রাচী’ নামে এক বিখ্যাত উপন্যাস রচনা করেছিলেন।
ভারতের সেভেন সিস্টার প্রদেশের ব্যবসায়ী ভাগ্যান্বেষণকারী ও চাকরজীবীরা রোহিঙ্গাদের কাছে হাত পাততেন এবং ভাগ্য করতেন তার প্রমাণ পাওয়া যায় নীলিমা দত্তের ‘আসাম-ত্রিপুরা এবং বাঙলা আরাকান রিলেশন’ এবং প্রবোধ চন্দ্র ঘোষের ‘বাঙালী’ নামক ফ্রান্সিস বুখাননের ‘দক্ষিণ পূর্ব বাংলায় ফ্রান্সিস বুখানন’ গ্রন্থে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত রতন লাল চক্রবর্তীর ‘বাংলাদেশ-বার্মা সম্পর্ক, বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত সিরাজুল ইসলামের ‘ইঙ্গ-বর্মী সম্পর্ক’, চট্টল ইতিহাসবিদ আবদুল হক চৌধুরীর ‘প্রাচীন আরাকান রোয়াইাঙ্গা হিন্দু ও বড়–য়া বৌদ্ধ অধিবাসী’ ও ‘চট্টগ্রাম-আরাকান’ অভিবক্ত বাংলার মুসলিম সাংবাদিকতার অগ্রদূত এম আবদুর রশিদ ছিদ্দিকীর চাটিগামী-রোয়াইতত্ত্ব, ডা. রামচন্দ্র বড়–য়া, চট্টগ্রামের মগের ইতিহাস, পূর্ণচন্দ্র চৌধুরীর চট্টগ্রামের ইতিহাস নামক বইগুলোতে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বশান্তির অনন্য অগ্রদূত উপর্যুক্ত বিষয়ে সংক্ষিপ্তসারে রোহিঙ্গা জনজাতিগোষ্ঠীর তথ্য ইতিহাস পাওয়া যায়। এতে দেখা যায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের নয় এতে রয়েছে হিন্দু, বৌদ্ধ ধর্মালম্বীর এবং প্রকৃতি পূজারীদেরও অবস্থান রয়েছে। বর্তমান মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদেরকে মুসলিম বানিয়ে যে জাতিগত নিপীড়ন, ধ্বংস হত্যাযজ্ঞ, লুটপাট ও ধর্ষণের মত ঘৃণ্য কাজ করে যাচ্ছে, এমনি করে ১৯৪৭-১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাঙালি জাতির উপর পাকিস্তানি হায়েনার বাহিনী সবাইকে হিন্দু অভিধায় অভিযুক্ত করে এই বাংলাদেশের ত্রিশ লক্ষ মানুষকে হত্যা এবং দু লক্ষ মা বোনকে ধর্ষণ করেছে। এ পুরনো তথ্যটি মিয়ানমার প্রধানমন্ত্রী অংসান সুচি ও তার পূর্ববর্তী সামরিক সরকারগুলো একই অপরাধযজ্ঞ করে গেছে এবং বর্তমানেও করে যাচ্ছেন। এখানে ভূরাজনীতির মিত্র রাষ্ট্রগুলোর কৌশলও একটু পরখ করা দরকার। যেমন একাত্তর সালে পাকিস্তানির মিত্রশক্তি ছিল গণচীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের সাথে সংযুক্ত আরব রাষ্ট্র সৌদি আরব। এই মিত্র শক্তির দেশগুলো মিয়ানমার সরকারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। পাকিস্তানের সাথে দীর্ঘমেয়াদি অস্ত্র চুক্তি যেমন রয়েছে ঠিক একই ভাবে চায়নার সাথে প্রাকৃতিক সম্পদ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার চুক্তি চলমান। ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে মস্কো-পিকিং বিরোধের জের ধরে চায়না, পাকিস্তান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে মিত্রটা তা এখনো অটুট আছে বলেই বর্তমানে আধা সামরিক ধ্বজা নব্য গণতন্ত্রী সূচির সরকার আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক ও আঞ্চলিক মিত্রটার কারণে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী একটি খেলার পুতুল মাত্র।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চায়না ও জাপানের মধ্যকার ভূরাজনৈতিক বিরোধের সময়েও জাপান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পক্ষালম্বন করেছিলো তার বিপরীতে চীন, পাকিস্তান, মিয়ানমার বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিলেন। কক্সবাজারের প্রেক্ষাপটে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কক্সবাজারে আওয়ামীলীগ তথা সংগ্রাম কমিটির নেতারা যেমন আরাকানে আশ্রয় নিয়েছিল ঠিক তেমনিভাবে রোহিঙ্গাদের একটি গোষ্ঠী পাকিস্তানপন্থী বিধায় মিয়ানমারের কেন্দ্রিয় সরকারের হাত মিলিয়েছিলো। আবার রোহিঙ্গাদের যে প্রগতিশীল ও মানবিক অংশ বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামীদের আশ্রয় প্রশ্রয় এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সে সময়ে এমএনএ নুর আহমদ, এমপিএ ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ ইদ্রিস এমপিএ, ক্যাপ্টেন হারুন আহমদ চৌধুরী, আফসার কামাল চৌধুরী, বাদশা মিয়া চৌধুরী, শমসের আলম চৌধুরী. প্রফেসর মোশতাক আহমদ, কামাল হোসেন চৌধুরী, প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন এবং অনেক বাধাবিপত্তির মধ্যেও চারটি গ্রুপ বাংলাদেশের রণাঙ্গনে পাঠিয়েছিলেন এবং কয়েকটি গ্রুপের অপারেশন সফল হয়েছিল বান্দরবান-কক্সাবাজর রণাঙ্গনে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সাল যেমন চীন মার্কিন পাকিস্তান, স্বদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের যৌথ ষড়যন্ত্রে পাকিস্তানপন্থী জিয়া-এরশাদ-খালেদা আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে মধ্যযুগের বর্বরতায় পরিচালিত করেছিলো তারই অংশ হিসেবে আরাকানে আইএসআই ও মোসাদের মধ্য দিয়ে জামাতে ইসলামসহ অন্যান্য ওয়াহাবী পন্থী ইসলামিক রাজনৈতিক দলগুলো প্রত্যক্ষ মদদে আরাকানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে হাতিয়ার করে তাদের ( রোহিঙ্গাদের) যে উগ্রপন্থীগ্রুপ পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো তাদেরকে সংগঠিত করে। এর ফলে বিশ্ব মিডিয়ায় রোহিঙ্গা জনসাধারণ জনগোষ্ঠী সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব রটনার খবর প্রকাশ হতে ধারাবাহিকভাবে। এই কারণে কয়েকটি বিষয়, কয়েকটি রাষ্ট্রের স্বার্থ সিদ্ধি হয়। যেমন পাকিস্তান বাংলাদেশের উপর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চায় মিয়ানমারের সাথে অস্ত্র ও অন্যান্য বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে চায়। চায়না এমনিতেই তাদেরকে সামরিক দখল, ভূপ্রাকৃতিক সম্পদ কাঁচামাল হিসেবে সংগ্রহ করে। ইতোমধ্যে নতুন যোগ হয়েছে ইসরাইল ও অন্যান্য মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদী জোট। তাদের বহুজাগতিক কোম্পানী গুলো কোকাকোলা, পেপসি ব্যবসার প্রাথমিক সুযোগ লাভ করেছে। এ সুযোগ তারা হাতছাড়া করতে চায় না। আরাকানে মজুদ রয়েছে বিপুল পরিমাণ তেল-গ্যাস-হাইড্রোকার্বন-আকিয়াব পাথর। এসব প্রাকৃতিক সম্পদ লুটের জন্য মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তারা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির রাজনৈতিক উপাদান হিসেবে ব্যবহার করছে। তারই অংশ হিসেবে আজকের এই রোহিঙ্গা সংকট। মার্কিন ও ইসরাইল এবং তাদের মিত্র জোট পরোক্ষভাবে চীনের সম্প্রসারণ বাণিজ্যকে বেঘাত ও প্রতিবন্ধকতার তৈরির হাতিয়ার হিসেবে আরাকানরাজ্য ( রাখাইন স্টেট) তাদের উপাদেয় ভূ-স্থান।
মাননীয় নেত্রী আপনার মনে আছে কিনা জানি না ১৯৭১ সালের ২১ মার্চ পাকিস্তানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জোসেফ ফারল্যা- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘ বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপ যুক্তরাষ্ট্রকে দীর্ঘ মেয়াদে ইজারা দিলে বিনা রক্তপাতে মার্কিন সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দেবে’ বলে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আর প্রস্তাবে প্রত্যাক্ষান করে ক্ষান্ত হননি, ফারল্যান্ডকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, মি. ফারল্যা- আমি আপনাকে চিনি। ইন্দোনেশিয়া ও আর্জেন্টনিয়ায় থাকাকালে আপনার কারণেই গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিলে এবং রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়েছিলো। আপনাকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমি পাকিস্তানি শেয়াল থেকে দেশ মুক্ত করে মার্কিন বাঘের তুলে দিতে চায় না।’ বঙ্গবন্ধুর এই উক্তি ও মার্কিন প্রস্তাবকে মাথায় রেখে বলতে চাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণপূর্ব এশিয়াকে শাসন-লুণ্ঠন ও চায়না-জাপানের ব্যবসায়িক অগ্রগতিকে ব্যাহত করার জন্য মার্কিন ইসরাইল পাকিস্তানের অবশ্য আরাকান রাজ্য ( রাখাইন স্টেট) দরকার। যার ফলে পাকিস্তান-মার্কিন নিতে পারবে পুরনো পরাজয়ের প্রতিশোধের স্বাদ, আর চায়না হবে খ-বিখ- বিধ্বস্ত। মাঝখানে মরবে নিরীহ রোহিঙ্গা জনগোষ্টী ও আমাদেরকেও অধিনস্থ করার অনৈতিক ব্যবস্থার চিন্তা।
মাননীয় দেশরতœ শেখ হাসিনা এসব বিষয় বিবেচনা রেখে আপনার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অসহায় চিত্র বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য আসিয়ান ভুক্ত রাষ্ট্রসমূহ, ওআইসি, ইউরোপীয় ইউনিয়নে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যেমন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে দুতোয়ালি সফর করেছিলেন ঠিক তেমনি আপনার দুতোয়ালি সফর আবশ্যক মনে করি। আর বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ডাটাবেজ তৈরি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে সামরিক বাহিনীর মধ্যে দিয়ে একটি জায়গায় আবদ্ধ রেখে মানবাধিকারের সকল সুযোগ বাস্তবায়ন করার জন্য জাতিসংঘের মধ্যে দিয়ে দাতাগোষ্ঠীর কাছে পরিকল্পিত সহায়তার আহ্বান জানা সময়ের দাবি।

ইতি
আপনারই দুর্দিনের মজলুম রাজনৈতিক কর্মী
মানিক বৈরাগী