রিয়াজুল হাসান খোকন (বাহারছড়া) :
টেকনাফ বাহারছড়ায় বেশ কয়েকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে শুরু করেছে। প্রভাবশালী ও জনপ্রতিনিধিরা আইনের প্রতি কোনো তোয়াক্কা না করে হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে তাদের নিজস্ব ভূমিতে ছোট ছোট কুঁড়ের ঘর তৈরি করে দিয়ে ভাড়া স্বরুপ তাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে এই প্রভাবশালী ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের নিজস্ব ব্যবসাকে সচল রাখার জন্য অল্প দামে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের তাদের নৌকার মজুর হিসেবে রাখারও অভিযোগ রয়েছে, সরকারী ভাবে রোহিঙ্গাদের নিদিষ্ট ক্যাম্পে চলে যাওয়ার জন্য এবং এলাকায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উপজেলা প্রশাসন থেকে বারবার মাইকিং করা হলেও কার্যত স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের পৃষ্টপোষকতায় এই রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে চলে না গিয়ে স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে শুরু করেছে টেকনাফ বাহারছড়ায় । যার প্রভাব পড়ছে স্থানীয় বনজ সম্পদ, নিত্য পণ্য, পয়:নিষ্কাশন, ও নিত্যদিনের জীবন চলাচলের উপর। নিত্যপণ্য ক্রয়কারী অনেক ক্রেতা অভিযোগ করেন রোহিঙ্গারা বাহারছড়ায় স্থায়ীত্ব হওয়ার কারণে জনসংখ্যার চাপসহ নিত্যপণ্য বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে, এমন কি অনেক পন্যের দাম গত কয়েক দিনের তুলনায় দ্বিগুন বেড়ে গেছে, যার ফলে নিত্যপণ্যের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয়রা।
এবিষয়ে বাহারছড়া শামলাপুর বিট কর্মকর্তা ইমাম তৌফিক বলেন রোহিঙ্গারা শামলাপুর সহ বাহারছড়ার বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী বসবাস করার কারণে বনজ সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে তারা রাত দিন আইনের প্রতি কোনো তোয়াক্কা না করে বনজ সম্পদ উজাড় করছে, এর মুল কারণ হল নিজ স্বার্থে রোহিঙ্গাদের কিছু স্থানীয় প্রভাবশালী ও জনপ্রতিনিধিদের ছত্রছায়া।
স্থানীয় অনেক নিত্যপণ্য বিক্রেতা জানান ,এখন রোহিঙ্গারা বাহারছড়ায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করার কারণে যে কেনো পণ্যের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে । তাই আমরা ভোক্তার চাহিদাকে সামনে রেখে পণ্যের দাম একটু বেশী নিচ্ছি। অন্য দিকে মায়ানমার থেকে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা নিদিষ্ট ক্যাম্পে না গিয়ে বাহারছড়ায় স্থায়ী হওয়ার কারণে বর্তমানে বাহারছড়ায় ভিক্ষাবৃত্তি অনেক বেড়ে গেছে । এবিষয়ে একজন দোকানদার জানান, আমার দোকানে দিনে কম হলেও একশ মত ভিক্ষুক আসে, যা সবাই রোহিঙ্গা। স্থানীয় সচেতন মহলরা বলেন অবৈধ ভাবে হাজার হাজার রোহিঙ্গা যদি এই ভাবে বাহারছড়ায় স্থায়ী হয় তাহলে এলাকার সৌর্ন্দয্য ও জননিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়তে পারে, তাই তারা সময় থাকতে এই রোহিঙ্গাদের নিদিষ্ট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার জন্য দাবী জানান।