আমান উল্লাহ আমান, টেকনাফ:

টেকনাফের ন্যাচার পার্ক ঘেষে নতুন করে রোহিঙ্গা বসতি গড়ে উঠেছে। স্থানীয় কিছু বাসিন্দারা মোটা অংকের বিনিময়ে ওই পার্কে বসতি স্থাপনে সহায়তা করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ফলে পার্কটি মারাত্মক পরিবেশ ঝুঁকিতে পড়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

১১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ইতিমধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক ঘর নির্মান করে বসতি গড়ে তুলেছে। বসবাসকারী সকলে নতুন করে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা পরিবার। মংডুর চারকুম্বু এলাকার আয়াতুল্লাহ জানান, প্রতিটি ঘর থেকে ২ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। এছাড়া মাসিক ৫০০ টাকা হারে ধার্য করেছে।

এব্যাপারে টেকনাফ নেচার পার্ক পাহারা দলের সাধারন সম্পাদক কামাল উদ্দিন জানান, নেচার পার্ক সংলগ্ন রোহিঙ্গাদের বসতির ফলে মারাত্মক ধরনের বিপর্যয় আসতে পারে। রোহিঙ্গারা ইতিমধ্যে টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ের বনের জঙ্গল, গাছ কেটে ধ্বংস করছে। তাছাড়া নেচারপার্কটি বন্যপ্রাণী অভয়রান্য সংরক্ষিত এলাকা। এই এলাকায় রোহিঙ্গাদের বসতির ফলে জীব জন্তুর উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তিনি আরো জানান, স্থানীয় সুরত আলম ও সেলিমসহ কয়েকজন মিলে এবসতি স্থাপনে সহযোগীতা করে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

এবিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ রেন্জ কর্মকর্তা তাপস দেব জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য সরকার আলাদা জমি বরাদ্ধ করেছে। যেহেতু নেচারপার্কের বাইরে স্থাপনাগুলো গড়ে উঠছে তাতে আমাদের কিছু করার নেই।