বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেই,পরিবেশ ছাড়পত্র নেই, নেই সিভিল এভিয়েশন ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্রও। রয়েছে জায়গার মালিকানা নিয়েও বিরোধ। এর পরও গড়ে তোলা হচ্ছে ১০ তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন। কক্সবাজার সদর উপজেলার দক্ষিণ জানারঘোনা এলাকায় ২০ শতক জমির উপর এ ভবনটি তৈরী করছেন টেকনাফের বিতর্কিত শামসুল আলম নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু ‘অবৈধ’ভবন নির্মাণে বাদ সাধে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। ১০ সেপ্টেম্বর বিকালে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে গিয়ে ভবনটি বন্ধ করে দেন। এসময় বের করে দেয়া হয় নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের। নির্দেশ দেয়া হয় অনুমতি ছাড়া যাতে কোন স্থাপনা নির্মান না করা হয়। পূণরায় কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ করলে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে কউকের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয় এসময়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কক্সবাজার-চট্রগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে জানারঘোনা এলাকায় ২০ শতকের বেশী জমির উপর একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দুই তলার কাজ প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। ৫০ জনের অধিক শ্রমিক প্রতিদিন এ নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এসময় কথা হয় নির্মাণ শ্রমিকদের প্রধান গোলাম কবিরের সাথে। তিনি জানান, মালিকের পক্ষ থেকে ভবনটির সব কিছু দেখভাল করছেন স্থানীয় নুরুল আলম ও বেলাল নামের দুই ব্যক্তি। তবে তিনি মালিকের নাম প্রকাশ করতে অনিহা প্রকাশ করেন।
এ প্রসঙ্গে নুরুল আলম জানান, ‘এ ভবনটির মালিক টেকনাফের শামসুল আলম নামের এক ব্যক্তি। তার পক্ষে আমি মাঝে-মধ্যে দেখা শোনা করতাম। এখন আর করিনা।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, শামশুল আলম নামের ওই ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে এলাকার উচ্ছৃংখল লোকজন ভাড়া করে এবং তাদেরকে পাহারাদার নিয়োগ দিয়ে এ‘অবৈধ’ ভবনটি গড়ে নির্মাণ করছেন।’
তারা জানান,নির্মাণাধী এ ভবনের পুরো জমিও মালিকদের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রি নেয়া হয়নি।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যন কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেন, ভবনটি নির্মাণে কোন ধরণের অনুমতি নেয়া হয়নি। তারপরও কর্তৃপক্ষের অগোচরে নিমৃাণ কাজ করা হচ্ছে। তাই কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একটি টিম পাঠিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অনুমতি ছাড়া যদি পূণরায় নির্মাণ কাজ করলে মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।