আগতদের বালুখালী ক্যাম্পে পাঠানো হচ্ছে

আমান উল্লাহ আমান, টেকনাফ (কক্সবাজার) :

টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ কিছুটা কমেছে। বিভিন্ন এলাকায় খবর নিয়ে ও সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, কয়েকদিনের তুলনায় অনেক কম রোহিঙ্গার আগমন দেখা গেছে।

এছাড়া টেকনাফ বাস স্টেশন এলাকায় গত কয়েকদিন যেভাবে রোহিঙ্গাদের ভীড় দেখা যেত রোববার তাও কিছুটা কম দেখা গেছে। তবে রোববার আগত ধামনখালী এলাকার আব্দুস মোঃ সলিম জানান, রাখাইনের নাইক্ষংদিয়া এলাকায় এখনও ৭০ হাজার মতো রোহিঙ্গা এপারে আসার অপেক্ষায় রয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহেদ হোসেন জানান, রোহিঙ্গা আগমন কিছুটা কমেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে তিনি জেনেছেন।

এদিকে, সীমান্ত অতিক্রম করে আসা রোহিঙ্গাদের বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হচ্ছে। রোববার টেকনাফ বাস স্টেশনে জড়ো হওয়া হাজার হাজার রোহিঙ্গাদের বিজিবির তত্বাবধানে বিভিন্ন যানবাহনে করে বালুখালী এলাকায় পাঠাতে দেখা গেছে।

গত শুক্রবার থেকে প্রশাসনিক সহযোগীতায় রোহিঙ্গাদের সেখানে পাঠানো শুরু হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন সিদ্দিক জানান, বালুখালী এলাকায় স্থাপিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জন্য সরকার দুই হাজার একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে। সীমান্ত দিয়ে আগত রোহিঙ্গাদের সেখানে পাঠানো হচ্ছে। তিনি আরো জানান, গ্রামে গঞ্জে কোথাও যাতে রোহিঙ্গারা বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে না থাকতে পারে সে ব্যাপারে জনপ্রতিনিধি ও বিজিবি পুলিশ কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হয়েছে।

রাখাইনে সেনাদের জালাও পোড়াও থেমে নেই : রোববার টেকনাফ সীমান্তের কাছে রাখাইনের বেশ কয়েকটি গ্রামে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।

টেকনাফ দমদমিয়া এলাকার বাসিন্দা ছালেহ আহমদ জানান, রাখাইনের পেরামপুরু ও রইংগাদং সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। সারাদিন ধরে জ্বলা আগুনের লেলিহান শিখা ও ধোয়ার কুন্ডুলী দেখা গেছে দমদমিয়া ও কেরুনতলী সীমান্ত এলাকা থেকে।

ত্রাণ তৎপরতা : সীমান্ত অতিক্রম করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীরাদের একটা অংশ প্রথমে টেকনাফ বাস স্টেশন এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে সেখান থেকে উখিয়ার বালুখালী, কুতুপালং, টেকনাফের লেদা, নয়াপাড়া, ও নতুন গড়ে উঠা হোয়াইক্যং রইক্যং এলাকায় চলে যাচ্ছে। প্রতিদিন নতুন করে সীমান্ত অতিক্রম করে আসা টেকনাফ বাস স্টেশন এলাকায় অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গাদের ব্যক্তিগত, ব্যবসায়ীক, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে

শুকনো খাবার, কাপড়, ঔষধ ও নগদ টাকা সহায়তা করতে দেখা গেছে।

টেকনাফে এখনও সরকারীভাবে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন ইউএনও জাহিদ হোসেন সিদ্দিক। তবে শীগ্রই সরকারীভাবে ত্রাণ বিতরন শুরু হবে বলে জানান তিনি।

বেসরকারীভাবে যারা ত্রাণ বিতরন করছেন তারা ব্যক্তিগত ভাবেই বিতরন করছেন বলেও জানান তিনি। শনিবার একটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান প্রশাসনকে অবহিত করে ত্রাণ দেয় বলে জানান তিনি। এছাড়া লেদা আনরেজিস্টার্ড ক্যাম্পে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তা করা হচ্ছে বেসরকারী ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে।