জালাল আহমদ,ঢাকা থেকে:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল( বিএনপি)’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১/১১ কারা এনেছিল, কিভাবে এনেছিল এবং এর কী উদ্দেশ্য ছিল তা আমরা জানি।১/১১ এর সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হতে শুরু করে মফস্বলের তৃণমূল নেতাকর্মী পর্যন্ত সর্বস্তরের হাজার হাজার নেতাকর্মী কে গ্রেফতার হয়েছিল।তখন আওয়ামীলীগ তারেক রহমান ও হাওয়া ভবন কে ঘিরে অপপ্রচার চালিয়েছিল। অথচ আজ পর্যন্ত হাওয়া ভবনকেন্দ্রিক কোন দূর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
মিয়ানমার সরকারের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন,রোহিঙ্গা সমস্যা একটি বড় সমস্য।অথচ মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না করে পোড়ামাটির নীতি গ্রহণ করেছে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সবসময় বিএনপি ষড়যন্ত্র ফোবিয়ায় ভোগে। কারণ তাদের কোন জনভিত্তি নেই। শুধুমাত্র অস্ত্রের জোরে সরকার টিকে আছে।
গুম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের উপর গুম অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি পটিয়ার বিএনপি নেতা সৈয়দ শাহাদাত ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আমিনুল ইসলাম কে গুম করেছে সরকার। ছাত্র রাজনীতি প্রসঙ্গে সাবেক এই বাম ছাত্রনেতা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করতে হবে। এজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ সারাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংসদ নির্বাচন আদায়ে কঠোর কর্মসূচী দিতে হবে।
গতকাল বিকালে ইণ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি) ‘র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১০ ম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাজীব আহসানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানের সঞ্চালনায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দলের মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব, ঢাকা মহানগর বিএনপি ( দ) এর সভাপতি হাবিবুন্নবী খান সোহেল বলেছেন,ওবায়দুল কাদের সাহেব কথা হিসাব করে বলবেন।যদি ৫ ই জানুয়ারির মত আরেকটি নিয়ম রক্ষার নামে আওয়ামীলীগ রক্ষার নির্বাচন হয়,তাহলে বাংলাদেশের জনগণ সেই নির্বাচন মেনে নেবে না।তখন আমও হারাবেন, ছালাও হারাবেন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামশুজ্জামান দুদু,বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন,তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু প্রমুখ। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আড়ালে সেনা সমর্থিত আধাসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে দেশকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব শূন্য করার লক্ষে মিথ্যা মামলা দিয়ে সে বছর ৭ মার্চ তারেক রহমান কে এবং ৩সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধান মন্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র আরাফাত রহমান কোকো কে গ্রেফতার করা হয়েছিল।পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান ও ১১ সেপ্টেম্বর বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিলাভ করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।