রফিক মাহমুদ,উখিয়া :

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে ভয়াবহ যানজটে নাকাল যাত্রীরা। সড়কের কোটবাজার থেকে পালংখালী পযর্ন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার জুড়ে শত শত গাড়ী ও হাজার হাজার মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ভিড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা যানবাহন কে আটকা পড়তে হয়। যানজট নিরসনে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। এ সুযোগে যাত্রীদের কাজ থেকে জোরপূর্বক গলা কাটা ভাড়া আদায় করছে ড্রাইভাররা। তবে মাত্রা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে প্রতিদিন অসংক ঘটনা সৃষ্টি হচ্ছে।

অতি সম্প্রতি মিয়ানমার হতে নির্যাতনের শিকার হয়ে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা নাগরিক প্রতিদিন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নিচ্ছে। গত ১৬ দিনে বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশকারী প্রায় ৩ লক্ষ রোহিঙ্গা কুতুপালং, টিএন্ডটি, টিভি টাওয়ার, বালুখালী, থাইংখালী, মোছার খোলা, মনখালী, শাপলাপুর, হোয়াইক্যং, লম্বা বিল, নয়া পাড়া, লেদা, মুছুনিসহ লোকা লয়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

সরজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, হাজার হাজার রোহিঙ্গা সড়ক জুড়ে অবস্থান করছে। তাদের বেপরোয়া চলা ফেরার কারণে সড়ক অচল হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ত্রাণ ও খাবার সংগ্রহে ক্ষুধাত্ব রোহিঙ্গা নারী পুরুষ রাস্তায় দাড়িয়ে থাকে। এ সমস্যার কারণে সড়ক যেন এক অঘোষিত অবরোধের কবলে পড়ে। অন্য দিকে রোহিঙ্গাদের দেখ ভাল করার জন্য শত শত বিভিন্ন সংস্থার গাড়ী আশা যাওয়া শুরু করেছে।

বর্তমানে উখিয়ার কোটবাজার, উখিয়া সদর স্টেশন, কুতুপালং, টিভি টাওয়ার, বালুখালী, থাইংখালী ও পালংখালীসহ কক্সবাজার- টেকনাফ সড়কের প্রত্যেকটা স্টেশনে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ২০ মিনিটের যাতায়তের স্থলে ১ ঘন্টা থেকে ২ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগছে।

ট্রাফিক পুলিশের এসআই সাঈদ মিয়া জানান, বর্তমানে সড়কের যানবাহনের সংখ্যা খুবই বেড়ে গেছে। স্বল্প পুলিশের সদস্য দিয়ে যানজট নিরসন করা খুবই কঠিন।

গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, এ সুযোগে সিএনজি, টমটম, মাইক্রো, চার-পোকাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ২০ টাকার স্থলে ৫০ টাকা এমনকি ৫০ টাকার স্থলে ১৫০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে ড্রাইভাররা। কেউ দিতে না চাইলে ওই যাত্রীকে গাড়ী থেকে নামিয়ে দেয়। এ নিয়ে প্রতিনিদিন অসংখ্য ঝগড়া বিবাধ লেগে আছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাউলা মার্মা তীব্র যানজটের ঘটনা সত্যতা শিকার করে বলেন, চেষ্টা করে যাচ্ছি যানজট কমিয়ে যাত্রীদেরকে দুর্ভোগ কমানোর জন্য।