প্রথমআলো :
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য বহু বছর ধরে কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশ চেষ্টা করলেও পরিস্থিতির উন্নতি না হয়ে বরং আরও অবনতি হয়েছে। কূটনৈতিক তৎপরতায় দৃশ্যমান কোনো ফলাফল দেখা যাচ্ছে না। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে নানামুখী তৎপরতা চালাতে শুরু করেছে মুসলিমপ্রধান দুই দেশ তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়া। কিন্তু এই সংকটের সবচেয়ে বড় ধাক্কা সামলাতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ কেন তৎপর নয় জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলাকে বলেন, কতগুলো বিষয় প্রকাশ করা হয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। পুরোপুরি অ্যাঙ্গেজ আছে সরকার। যোগ-বিয়োগের ব্যাপার এসে গেছে।
এ ছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলাদেশের কথা না বলার কারণ কী এই যে চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সঙ্গেই আছে? এ প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, আগে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সমর্থন করেছে। ভারতের সমর্থন পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
রোহিঙ্গা শরণার্থীর স্রোত নিয়ে দুই রকমের উদ্বেগের কথা বলেন এইচ টি ইমাম। তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি আর্মির (আরসা) আনাগোনা বেশ কিছু দিন আগে গত বছরের অক্টোবরের পরে হয়। তখন বিজিবি তাদের ধাওয়া দিয়ে বের করে দিয়েছে। এরা সব সময় ধাওয়া খেলে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। তাই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে জয়েন্ট প্যাট্রোল ও জয়েন্ট অপারেশন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জঙ্গিবাদের প্রস্তাবে মিয়ানমার এখনই রাজি না হলেও ভবিষ্যতে হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ফোরামে এই বিষয়টি তোলা হবে কি না জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই তোলা হবে। এটা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এদিকে আসছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।