হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:
টেকনাফের উপকুলে পৃথক ২টি ট্রলার ডুবির ঘটনায় বৃহস্পতিবার ৭ সেপ্টেম্বর ১৩ জন রোহিঙ্গা নারী ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মরদেহ সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা এবং জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে দাফন করা হয়েছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ৭ সেপ্টেম্বর ভোররাত ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের তুলাতলী এবং সাবরাং ইউনিয়নের খুরেরমুখ উপকুলে রোহিঙ্গাবাহী দুটি নৌকা ডুবে যায়।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মাইন উদ্দিন খান জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পথে নাফ নদীতে নৌকা ডুবিতে তাদের মৃত্যু হয়। মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় বৃহস্পতিবার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ নাফ নদী থেকে ২ জন শিশু, ২ জন নারী, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের তুলাতলী ও দরগাহরছড়া থেকে ৩ জন শিশু. ১ জন নারী, বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী ও নোয়াখালী থেকে ২ জন শিশু, ১ জন নারীর মরদেহ গুলো উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ ৭ সেপ্টেম্বর রাত ৭টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিলের লম্বরী পর্যটন ঘাটে ১ জন নারী এবং ১ জন শিশুর মরদেহ দেখা যায়।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংস অভিযানের মুখে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে রাতদিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই পারাপারে নৌকা ডুবে প্রাণহানি ঘটছে। ২৫ আগস্টের পর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য মতে রোহিঙ্গাবাহী ১৪টি নৌকা নাফ নদী ও সাগরে ডুবে যায়। এ পর্যন্ত নৌকা ডুবির ঘটনায় ৮৭ জন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।