রিয়াজ উদ্দীন, পেকুয়া:
পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মটকাভাঙ্গা এলাকায় চিংড়িঘেরে কীটনাশক প্রয়োগ করে প্রায় চার লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। চুরির প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হন ওই চক্র। পরদিন গভীর রাতে ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে। এ সময় প্রায় ১৭একর মৎস্যঘেরের মাছ মরে যায়। সকালে বিপুল পরিমান মরা মাছ পানিতে ভাসতে থাকে। এমনকি কীটনাশকের দুর্গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনার জের ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে মগনামা ইউনিয়নের সোনালী বাজারের নিকট নুরুল আবছারের মালিকানাধীন চিংড়িঘেরে এ ঘটনা ঘটে। ঘেরের মালিক বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে চলতি বর্ষা মৌসুমে সোনালী বাজারের উত্তর পাশে^ প্রায় ১৭একর চিংড়ি ঘেরটি আগাম নেয় মটকাভাঙ্গা এলাকার মৃত.আলতাফ মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা নুরুল আবছার। ঘেরটিতে তিনি মৎস্য পোনা অবমুক্ত করেন। বিভিন্ন জাতের মাছের বিপুল সমাহার হয়েছে ওই ঘেরে। বর্তমানে চিংড়ি সাইজ হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে বিক্রয় উপযুগি ওই চিংড়িগুলি আহরনের সময়। জানা গেছে গত সোমবার ঘের থেকে মাছ চুরি হয়। এ নিয়ে সোনালী বাজারে বিচার হয়েছে। দোষী সাবস্থ্য হন মটকাভাঙ্গা এলাকার রফিক আহমদের ছেলে কামাল হোসেন। বৈঠকে মাছ চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে যায়। এর জের ধরে ওইদিন রাতে ওই ব্যক্তি ঘেরে বিষ প্রয়োগ করেছে বলে মালিক নুরুল আবছার অভিযোগ করেছেন। বৃহষ্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে চিংড়ি ঘের পরিদর্শন করা হয়। দেখা গেছে ওই ঘেরে বিপুল পরিমান মাছ পানিতে ভাসছে। শিশুরা ঘেরে নেমে পানি থেকে মরা মাছ কুঁড়াচ্ছে। নাইট্রো নামের কীটনাশক ঘেরে প্রয়োগ করা হয়েছে। ২৫০মিলি ওজনের চারটি বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। নাইট্রোর মুল উপদান সাইফার মেথ্রিন ও ক্লুরোপাইরিফস সমৃদ্ব। ষ্পর্ষক পাকস্থলি গুন থাকায় ওই কীট নাশক দ্রুত বিনাশ ঘটে নিরহ প্রানীজ জগতে। মাছ, কাঁকড়া, কুচিয়াসহ নানা প্রজাতিতে ওই বিষের প্রভাব দ্রুত পরিলক্ষিত হয়। নাইট্রো প্রয়োগ করায় নুরুল আবছরের ঘেরের সমস্ত মাছ মারা গেছে। ঘেরের কর্মচারী আযম উদ্দিন ও আবুল কাছিম জানায় আমরা সকালে দেখতে পায় মরা মাছের অবস্থা। পানিতে অসংখ্য মাছ ভাসছে। বিষ প্রয়োগ হওয়ায় আর কোন প্রকার মাছ জীবিত থাকার সম্ভবনা নেই। প্রায় চার লাখ টাকার মাছ মারা গেছে। ঘেরের মালিক নুরুল আবছার জানায় চুরির বিচার দিয়েছিলাম। সেটি কাল হয়েছে। এখন আমার সর্বনাশ হয়েছে। মাছগুলি ধরার সময় এসেছে। বিচার দিয়েছি।
সোনালী বাজারের এয়ার মুহাম্মদ, বজল আহমদ, লুৎফর রহমান, ছরওয়ার উদ্দিন মিয়া, রমিজ আহমদ,আবুল বশর জানায় ঘেরের মালিক বিষয়টি আমাদেরকে জানায়। চুরির বিচার হয়েছিল। বড় অপরাধ হয়েছে। মানুষ অন্যায় করতে পারে। কিন্তু মাছের কি দোষ। ইউপি সদস্য নুরুল আজিম জানায় বিষয়টি আমি জেনেছি। স্থানীয়রা বিচারও করে। এখন তারা কি পদক্ষেপ নেয় সেটি প্রত্যক্ষ করছি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।