বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে ও অনুপ্রবেশ বন্ধে দেশটিকে চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা প্রিথিয়াসমিয়ারসি সোয়েমারনো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে তিনি এ আহ্বান জানান। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে জাতিগত নিপীড়নের মুখে বিপুলসংখ্যক নাগরিক বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
মানবিক দিক বিবেচনা করে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের নীতি পরিষ্কার। কোনো প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মাটি সন্ত্রাসী, জঙ্গী গোষ্ঠীকে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। এ সময় বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলগুলোতে ইন্দোনেশিয়ার আরও বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন।
এ প্রেক্ষিতে ইন্দোনেশিয়া রাষ্ট্রদূত বলেন, জাকার্তা ঢাকার সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করতে চায়। ওষুধ শিল্পসহ বিভিন্ন সেক্টরে যৌথ বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশের উন্নয়ন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। বাংলাদেশে ১৬০০ মেগাওয়াটের এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।