আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান রোহিঙ্গা নিধন অভিযানের মধ্যেই প্রতিবেশী দেশটি সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে মোদির বহুল আলোচিত এ সফর। সফরকালে তিনি মিয়ানমারের তিনটি স্থান পরিদর্শন করবেন।
এদিকে, রোহিঙ্গা নিধনে মিয়ানমারের সু চি সরকার আন্তর্জাতিক মতের কোনো তোয়াক্কা করছে না। ফলে মোদির এ সফর অনেকটা আশার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
তাছাড়া মিয়ানমারকে ‘কাছের বন্ধু’ এবং গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন মোদি। ফলে সফরকালে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে মোদির আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মোদির সফরের দ্বিতীয় দিনে ইয়াঙ্গুনে থুওয়ান্না ইনডোর স্টেডিয়ামে ভারতীয় কমিউনিটির এক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। কিন্তু সফর উপলক্ষে মিয়ানমারের ভারতীয় ওই কমিউনিটিকে পাঠানো মোদির এক ই-মেইল বার্তায় মিয়ানমারকে চাপে রাখার প্রত্যাশা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
তাদের উদ্দেশে মোদি ই-মেইল বার্তায় লিখেছেন, আনন্দ ও উদ্যমের সঙ্গে তার মিয়ানমার সফর শুরু হতে যাচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী ও ভারতের অন্যতম কাছের বন্ধু দেশ মিয়ানমারে এটিই তার প্রথম দ্বি-পাক্ষিক সফর। বার্মিজ ভারতীয়রা গত এক দশকে দুই দেশকে অনেক কাছাকাছি নিয়ে এসেছে।
সফরকালে মোদি ২৫০০ বছরের পুরনো শেওদাগন প্যাগোডা, অং সান জাদুঘর ও ইয়াঙ্গুনের শহীদ সমাধিকেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
সফরকালে মোদি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ছাড়াও অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাছাড়া সু চির দেওয়া এক মধ্যাহ্নভোজেও অংশ নেবেন মোদি।
রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলিমদের পাশাপাশি শত শত হিন্দুদের ওপরও নির্যাতন-হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরইমধ্যে ৮৭ জন হিন্দুকে গলা কেটে হত্যা করেছে তারা। বাধ্য হয়ে প্রাণ বাঁচাতে লাখো মুসলিমদের সঙ্গে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে শত শত হিন্দু।
এদিকে, মোদির সফরকে ঘিরে ভারতে বসবাসকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাশা, সহিংসতা বন্ধে মোদির পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করা হোক।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।