জসিম উদ্দিন টিপু,টেকনাফ:
রাখাইন রাজ্যে পুলিশ ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলা পরবর্তী মিয়ানমারের সেনা বাহিনী এবং সেখানকার পুলিশ কর্তৃক সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের নামে পরিচালিত সংঘটিত ঘটনার জের ধরে এখানকার ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার কোন সুযোগ নেই। টেকনাফ সীমান্তের ধর্মীয় সম্প্রীতি যে কোন মূল্যে বজায় রাখা হবে। ধর্মীয় সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখতে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই কাজ করে যাচ্ছে। সীমান্তে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও পরস্পরের মাঝে সৌর্হাদ্য পূর্ণ সম্পর্ক অতীতের তুলনায় দিন দিন আরো সুদৃঢ় হয়েছে। মিয়ানমারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনুপ্রবেশকৃত রোহিঙ্গাদের দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের কেউ যেন এখানকার ধর্মীয় সম্প্রীতিতে আঘাত হানতে না পারে সে জন্য পুলিশের বিশেষ টীম দিবারাত্রি কাজ করে যাচ্ছেন। ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের সকল ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে শক্ত ভাবে প্রতিহত করা হবে। রোববার টেকনাফে বৌদ্ধ পল্লী সমূহে রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে অনুষ্ঠিত পৃথক বিশেষ বৈঠকে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড: একেএম ইকবাল। বৈঠকে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাই লাউ মারমা, সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) বাবুল বনিক, টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মাইন উদ্দিন খাঁন, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক কাঞ্চন কান্তি দাশ, পুলিশ পরিদর্শক থোয়াইন মারমা, হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এস.আই মো: মহির উদ্দিন খাঁন। সন্ধ্যা ৭টায় হ্নীলা রঙ্গিখালী চৌধুরীপাড়া বৌদ্ধ বিহার অনুষ্ঠিত বৈঠকে সমাজ সর্দার মং টিং অং, মং বুসে, কেনি, ক্যজউ, মং এ খেন, মেদু, অংক্যন্যে, মংথুইহ্লা, মং থোয়েন চৌ, বাথিং, বোসেসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সকলে এখানকার ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রশংসা করে বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি ও পরস্পর সৌর্হাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নে সব ধর্মের মানুষ খুবই আন্তরিক।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।