জসিম উদ্দিন টিপু, টেকনাফ:

“পুলিশ জনতা-জনতাই পুলিশ” কথাটির বাস্তব প্রতিফলন ঘটালেন টেকনাফের এক পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি উপ পুলিশ পরিদর্শক মাহির উদ্দিন খাঁন উজ্জ্বল। বর্তমানে এই পুলিশ কর্তকর্তা টেকনাফ মডেল থানার আওতাধীন হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বে আছেন। ১ সেপ্টেম্বর জুমাবার নাফ নদীর হ্নীলা এবং খারাংখালী সীমান্তে ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশ-বিজিবিকে খবর দেন। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বৃষ্টি আর বৃষ্টি। বৃষ্টির বাঁধার মুখে পড়ে অনেকে নাফ নদীর সীমান্ত পাড়ে যেতে পারেননি। গেলেও অনেকে বৃষ্টিতে ভিজে বা বিশেষ কারণে নদীতে নামেননি। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তা মাহির কেবল দুই জন জেলে নিয়ে একাই নদীতে নেমে পড়লেন। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ এবং শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে একটি স্থানে নিয়ে আসেন। উপস্থিত লোকজন এবং স্থানীয়রা পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক নদীতে নেমে লাশ উদ্ধারের চিত্র দেখে অনেকে হতবাক হয়ে পড়েন। উপস্থিত সকলে মানব দরদী এই পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পুলিশ কর্মকর্তা মাহিরও নাফ নদী থেকে অসহায় রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করার কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে বলেন, সব শ্রেনীর মানুষের প্রতি সর্বোচ্চ মানবিক আচরণের মাধ্যমে পেশাগত মান মর্যদা অক্ষুন্ন রাখতে আজীবন কাজ করবেন বলে জানান। স্যালুট………….স্যালুট…………..স্যালুট।