রাখাইন রাজ্যে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ 

যুগান্তর :

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোগান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদকে বৃহস্পতবিার রাতে টেলিফোন করে দুই দেশের বিদ্যমান বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।

টেলিফোনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যার ক্ষয়ক্ষতির জন্য তুরস্কের জনগনের আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

এ ছাড়া তিনি বর্তমানে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিরাজমান পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর দেশটির সেনাবাহিনীর চালানো নিপীড়ন ও অভিযানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তিনি এ যাবতকালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় এবং চলমান সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের প্রতি তুরস্কের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি রোহিঙ্গা বিষয়ক সমস্যাটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামের আলোচনায় উপস্থাপনে তুরস্কের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বাস দেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ তুরস্কের রাষ্ট্রপতিকে এবং সে দেশের জনগনকে বাংলাদেশের জনগনের পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে টেলিফোন আলাপ ও বাংলাদেশের প্রতি তাঁর সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি অত্যাচার ও দমন-পীড়নের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ৩০ বৎসরেরও বেশী সময় ধরে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, সীমিত সম্পদ ও অন্য সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি-নীতি অনুযায়ী মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা মুসলিমদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করেছে।

বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবস্থানের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পরিবেশগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ তাদের প্রতি খাদ্য, বাসস্থান, ওষুধ, শিক্ষা ও অন্য সব সুবিধাদি প্রদান অব্যাহত রেখেছে।

তিনি অবিলম্বে সহিংসতা থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে মায়ানমারের সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশগুলো অবিলম্বে বাস্তবায়নের তাগিদ দেন।

এ বিষয়ে তিনি ওআইসি ও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে তুরস্কের অব্যাহত সহায়তা কামনা করেন এবং তুরস্কের ভবিষ্যত সহায়তার অভিপ্রায়কে স্বাগত জানান।

আলোচনা শেষে তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে তিনি ভবিষ্যতে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশে সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং রোহিঙ্গাদের প্রতি তুরস্কের সমর্থন ও তাঁর টেলিফোন কলের জন্য ধন্যবাদ জানান।