মোহাম্মদ ফারুক , পেকুয়া :
`কক্সবাজার জেলার গণমানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। বিশেষ করে চকরিয়া-পেকুয়ার সর্ব জনগণের এ যেন অন্যরকম ভালবাসা। তাদের এ ভালবাসার প্রতিদান আমি কিভাবে দিব জানিনা। আমার জীবনের এক বিন্দু রক্ত থাকতে আপনাদের বিপদ আপদে আমি আপনাদের ছেড়ে যাব না।
আপনারা সবাই জানেন এবং দেখলেন আমার ও আমার পরিবারের উপর ষড়যন্ত্রকারীরা কিভাবে অন্যায় করেছে। তাতেও তারা ক্ষান্ত না হয়ে আমার স্বপরিবারকে হত্যার চক্রান্ত করেছিল। আল্লাহ রহমত ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সম্মানীত সভাপতি আমার প্রিয় নেতা সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানসহ জেলা আ’লীগের শীর্ষ নেতাদের তৎবীর এবং পেকুয়াবাসীর পাহারায় ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হতে পারেনি। আমি জেলা পরিষদের সদস্য হিসাবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণ আমার বিপদের সময় যেভাবে এগিয়ে আসলেন তার জন্য আমি ও আমার পরিবার কৃতজ্ঞ।’ -গতকাল বুধবার (৩০আগষ্ট) বিকাল ৩টায় পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের কারামুক্তি গনসংবর্ধনা আয়োজক কমিটির ব্যানারে অনুষ্টিত বিশাল গণসংবর্ধনায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে উল্লেখিত কথাগুলো বলছিলেন ষড়যন্ত্রের স্বীকার জাহাঙ্গীর আলম।
এ সময় জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, পেকুয়ার বিশাল এ গণসংবর্ধনা ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। আগে জানতাম না জনগণ ও নেতাকর্মীরা তাকে এতো ভালবাসে। জেলা আ’লীগের সংগ্রামী সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানের বার্তা নিয়ে পেকুয়ার গণসংবর্ধনায় এসেছি। জাহাঙ্গীর আলম পেকুয়ার ভবিষ্যত নেতা। আপনাদের সুঃখে দুঃখে সে পাশে থাকবে। তার কোন দোষ ত্রুটি থাকতে পারে। আমরাই তার বিচার করবো। ষড়যন্ত্রমূলক কেন তাকে আটক করা হবে। তার মুক্তি হল। অন্য তিন ভাইয়ের দ্রুত মুক্তিদাবী করছি। এবং আমরা জেলা আ’লীগ তাদের মুক্তির জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা আ’লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক লায়ন কমরু উদ্দিন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক খালেদ মো: মিথুন, জেলা আ’লীগের সদস্য এটিএম জিয়া উদ্দিন, জেলা আ’লীগের সদস্য গিয়াস উদ্দিন, সদস্য উম্মে কুলসুম মিনুসহ দলীয় নেতাকর্মীরা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো: আজমগীর প্রকাশ আজিম, যুবলীগ সদস্য অসুস্থ মো: আলমগীর ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো: কাইয়ুমের দ্রুত মুক্তিদাবী করেন।
জেলা যুবলীগের সভাপতি মো: খোরশেদ আলম ও সাধারণ সম্পাদক জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কক্সবাজার পৌর মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে জেলা যুবলীগের সি:সহ-সভাপতি এ্যাড: শহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জেলা যুবলীগের বার্তা নিয়ে আমি এসেছি। জাহাঙ্গীর আলম পেকুয়ার জনপ্রিয় নেতা। তার ও তার পরিবারের প্রতি চরমভাবে অন্যায় করা হয়েছে। আমরা আইনি মোকাবেলা করে জাহাঙ্গীর আলমকে মুক্ত করেছি। ষড়যন্ত্রকারীরা যতই ষড়যন্ত্র করুক তার অন্য তিনভাইকে দ্রুত মুক্ত করবো ইনশাআল্লাহ।
পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের সাবেক সহ-সভাপতি টইটং ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ’র (বিএ) সভাপতিত্বে এবং উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি এ্যাড: মোজাম্মেল হোছাইন এর পরিচালনায় বিশাল গণসংবর্ধনায় আরো বক্তব্য রাখেন, পেকুয়া উপজেলা আ’লীগ নেতা বখতিয়ার উদ্দিন চৌ:, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, এম.কম কামাল হোসেন, সালাউদ্দিন এমএ, মাশুক আহমেদ, মফিজুর রহমান, কাজিউল ইনসান, আবু তালেব, সাইফু উদ্দিন খালেদ, জাহাঙ্গীর আলম সত্তার, মাষ্টার হানিফ চৌধুরী, আনোয়ারুল আজিম চৌ:, কবির আহমদ, এম আজম খান, আবুল হোসেন শামা, সরওয়ার কামাল চৌ:, কামাল হোছাইন, মাষ্টার জামাল হোছাইন, সামশুল ইসলাম, ফোরকান ইলাহি, এনামুল হক, ওসমাণ গণি, মমতাজুল ইসলাম, মো: কাইছার, মোজাম্মেল হক, শ্রমিকলীগ নেতা নুরুল আবছার, সাইফুল ইসলাম বাবুল, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এসএম শাহাদত, মৎস্যজীবিলীগ নেতা জাকিরুল ইসলাম, সৈনিকলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, তাঁতীলীগ নেতা এটিএম জায়েদ মোর্শেদ, মো: ইসমাঈল, ব্যবসায়ী নেতা মিনহাজ উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন মিঠু, এহেতাসামুল হক, মিজানুর রহমান।
যুবলীগ নেতা শফিউল আলম, সেলিম উদ্দিন, বাদশা মিয়া, আকতার হোছাইন, জাফর আলম, হারুনর রশিদ, শহিদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, এনামুল হক, মো: বাচ্চু মিয়া, শেখ ফরিদ, তোষার ইমরান, রোকন উদ্দিন, মো: ইসমাঈল, মো: মহিউদ্দিন, মিজবাহ উদ্দিন, আনসারুল ইসলাম টিপু, হেলাল উদ্দিন, আবুল কালাম, আনসার উদ্দিন, জয়নাল আবদীন, হেলাল উদ্দিন, ছাত্রলীগ যুগ্ন-সম্পাদক ওসমাণ সরওয়ার বাপ্প্,ি উত্তম কুমার, আতিকুজ্জামান ছোটন, কামাল হোসেন, রানা পারভেজ, পারভেজ সিকদার, মাসুদ বিন জলিল, শাহাজান মিয়া, সালাউদ্দিন আকাশ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।