ডেস্ক নিউজ:
মাকে হত্যা করে হৃদপিণ্ড বার করে খেয়ে ফেলল ছেলে। গত সোমবার বিকেলে এই নারকীয় ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে।
সুনীল কুছাকুর্ণী নামে ২৭ বছরের সেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশি জেরায় নিজের দোষ স্বীকার করেছে সে।
শাহুপুরি পুলিশের এক সিনিয়ন ইন্সপেক্টর মিড-ডে’কে জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন সেই অভিযুক্ত। তখন বাড়িতে ছিলেন না সুনীলের মা ৬৫ বছরের ইলাভা। খুব ক্ষুধা পাওয়ায় প্রতিবেশী একজনের বাড়িতে খাবার চাইতে যান সুনীল। কিন্তু, মদ্যপ সুনীলকে খাবার দিতে চাননি ওই প্রতিবেশী। তার পর ফিরে এসে বাড়ির সামনেই বসেছিলেন অভিযুক্ত।
বেশ কিছু সময় বাদে তার মা বাড়িতে ফেরেন। তখনই তাকে মারধর শুরু করে ছেলে। তার প্রচণ্ড মারে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ইলাভা দেবীর। তাতেও রাগ কমেনি ছেলের। এর পর মায়ের দেহ চিরে হৃদপিণ্ড বার করে আনে সে। মায়ের রান্না করা রাখা চাটনি দিয়ে সেই হৃদপিণ্ড খান সুনীল। সঙ্গে ছিল পাঁপড়ও।
মাকে মারধরের সময়ই পুলিশে খবর দিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ এসে যখন সুনীলকে গ্রেফতার করে, তখন তার গোটা শরীর রক্তের ছাপ। পাশে পড়ে রয়েছে মায়ের নিথর দেহ।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় এক ঠিকাদারি সংস্থায় কাজ করেন সুনীল। প্রতি দিনই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে মাকে মারধর করতেন। তার অত্যাচারে মাস ছয়েক আগে তিন সন্তানকে নিয়ে মুম্বাইয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান স্ত্রী।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।