চকরিয়া সংবাদদাতা :
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের ডুলাহাজারা বনবিটের আওতাধীন মালুমঘাট রিংভং হাসিনাপাড়ায় বনভূমি দখল করে লক্ষ-লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি ও নিত্যনৈমিত্তিক ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু নীরব ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা।
সচেতন মহল জানান, মাদার ট্রি গর্জনে পরিপূর্ণ বনভূমি জায়গা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা , কর্মচারী গং এর সাথে আঁতাত করে ৪০ শতক জায়গা মন্দির নির্মাণের নামে এক ভদ্র, সাধু ও দখলবাজ দখল করে নিয়েছে। তিনি হলেন অত্র ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রিংভং হাসিনাপাড়া মৃত যৌগিন্দ্র শীল এর পুত্র অরুণ শীল। ধর্মসাধুর নামে এ দখলবাজ তার দখলকৃত ৪০শতক জায়গা থেকে সাড়ে ১১শতক জায়গা ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফদলন্ডি ইউনিয়নের বাসিন্দা বাবুল ধরকে বিক্রি করেছে বলে জানিয়েছেন। আরো জানান, উক্ত জায়গার যে অংশে মন্দির করা হয়েছিল ঐ জায়গা ও মন্দির সহ বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।
গোপনসূত্রে জানা যায় যে, দখলবাজ এ ধর্মসাধু সে নিজেই সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার বিশ্বস্থ স্পেশাল মুন্সি জসিম উদ্দীনের মাধ্যমে তার উর্ধ্বতন অত্র কার্যালয়ের কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে উক্ত জায়গার মধ্যে ১টি সেমি পাকার ও আরেকটি টিনের ঘেরাও বাড়ী নির্মাণ করিয়াছে। এছাড়াও উক্ত এলাকা জুড়ে বর্তমানে পাঁকা , সেমি পাঁকা ও কুঁড়ে ঘর সহ প্রায় ২০টি মত ঘর নির্মাণাধীনের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে বলে জানা যায়। তবে প্রত্যেক নির্মাণধীন বাড়ির মালিক থেকে এ স্পেশাল মুন্সি ও তার সোর্স সহ গিয়ে ১০/১৫হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানা গেছে। সর্বোপরি উল্লেখিত ধর্মসাধু তাহার নির্মিত বাড়ীর আশ-পাশ থেকে মাদার ট্রি গর্জন গাছ সহ অন্যান্য গাছও কর্তন করে নির্চ্ছিন্ন গাছের গোড়ালির মোথা সহ উধাও করে ফেলেছে বলে দেখা যায়। তাই বন বিভাগের জায়গার উপর নিত্যনৈমিত্তিক নির্মিত বাড়ীঘর নির্মাণরোধ ও বনভূমি দখলবাজদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন বনবিভাগ কর্মকর্তা গং এর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকার সচেতন মহল।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।