ফরিদুল আলম দেওয়ান, মহেশখালী: 

বঙ্গোপসাগরের মূর্তিমান অাতংক দীর্ঘ কয়েক যুগের অালোচিত জলদস্যু সম্রাট কুতুবদিয়া দ্বীপের বাসিন্দা রমিজ আহমদ প্রকাশ পা কাটা রমিজ অবশেষে জলদস্যুতার পরিকল্পনা কালে অপর ২ সহযোগী ও ২ অস্ত্রসহ মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে।
আটককৃতরা কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া ও চকরিয়া উপজেলার পেশাদার জলদস্যু বলে জানান পুলিশ ।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ২৬ আগস্ট গভীর রাতে মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার পেশাদার জলদস্যুদের সমন্বয়ে  একদল জলদস্যু সাগরে  ফিশিং ট্রলার ডাকাতি উদ্দ্যেশ্যে মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়া দ্বীপে নাগু মেম্বারের বাড়ীর পশ্চিম পার্শ্বের ঝাউবাগানে অস্ত্র মজুদ করে  ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল । এমন গোপন  সংবাদের ভিত্তিতে মহেশখালী থানা পুলিশের এস আই শাওন দাশের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সোনাদিয়া দ্বীপে অভিযান চালিয়ে ঝাউবাগান থেকে ২টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র ও ৪ রাউন্ড গুলি সহ ৩ জলদস্যুকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরো ৭/৮জন জলদস্যু পালিয়ে যায় বলে পুলিশ সুত্র জানায়।  আটককৃত জলদস্যুরা হলেন  মোঃ রমিজ আহমদ প্রকাশ পা কাটা রমিজ (৪৮), পিতা-মৃত নজির আহমদ, সাং-উত্তর ধুরং চুল্ল্যা কাটা, থানা-কুতুবদিয়া, ২। মোঃ আমিন(৫০), পিতা-মৃত ছিদ্দিক আহাম্মদ, সাং-মিয়ারাকাটা(উত্তর ধুরং), থানা-কুতুবদিয়া, ৩। মোঃ নবী হোসেন (৪২), পিতা-ফজল আহমদ, সাং-পালাকাটা, থানা-চকরিয়া। মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ অারো জানান, আটক জলদস্যুদের বিরুদ্ধে মহেশখালী,কুতুবদিয়া,চকরিয়া ও চট্টগ্রামের বন্দর থানায় ডাকাতী ও জলদস্যুতার বহু মামলা রয়েছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগের উদৃতি দিয়ে ওসি জানান, ধৃত রমিজ বঙ্গোপসাগর এলাকায় দীর্ঘ ৩ যুগেরও অধিক কাল ধরে দস্যুতা,ডাকাতীর অভিযোগ রয়েছে। গত ১০ বছর পূর্বে কুতুবদিয়া এলাকার অপর অালোচিত জলদস্যু গ্রুপের প্রধান এবাদুল্লাহ ডাকাতের বাহিনীর সাথে রমিজ গ্রুপের এলাকায় কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার সংঘর্ষে এবাদুল্লাহ বাহিনী রমিজের একটি পা কেটে নেয়। এর পরও রমিজ থেমে নেই জলদস্যুতা থেকে। সে তার অপরাপর সহযোগীদের দিয়ে সাগরে দস্যুতা চালিয়ে কূলে বসে ভাগ নিয়ে অাসছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় মামলা থাকতে পারে। এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে বলে ওসি প্রদীপ জানান। ধৃতদের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় পৃথক ২টি মামলা রুজু করা হয়েছে। পেশাদার জলদসুদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।